কানকুনে সমঝোতার পথে নেতারা

কানকুন সম্মেলনে একটি সমঝোতার কাছাকাছি পৌঁছেছে ১৯০টি দেশের প্রতিনিধিরা, যা ডারবানে জলবায়ু সম্মেলনে একটি চুক্তির পথ সহজ করবে। কানকুন থেকে জানাচ্ছেন তানিম আহমেদ।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 Dec 2010, 02:43 AM
Updated : 11 Dec 2010, 02:43 AM
তানিম আহমেদ
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
কানকুন, ডিসেম্বর ১১ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- ১৬তম জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক কানকুন সম্মেলনে ১৯০টি দেশের প্রতিনিধিরা একটি সমঝোতার কাছাকাছি পৌঁছেছেন।
মেক্সিকোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্যাট্রিসিয়া এস্পিনিয়োসা শুক্রবার একটি খসড়া প্রস্তাব তুলে ধরেন। তার ওই প্রস্তাব সবমহল কমবেশি গ্রহণযোগ্য মনে করছে।
কিউবার সমর্থন নিয়ে কেবল বলিভিয়া ওই প্রস্তাবের কিছু সমালোচনা করেছে। তবে সমঝোতা প্রস্তাবটি পাসের ক্ষেত্রে ভেটো দেবে কিনা সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছু জানায়নি তারা।
কার্বন নিঃসরণ উল্লেখযোগ্য হারে কমানো প্রয়োজন বলে এ দলিলে বলা হয়েছে। তবে কীভাবে সেটা করা সম্ভব বা করা হবে সে বিষয়ে ওই প্রস্তাবে উল্লেখ নেই।
জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে দরিদ্র দেশগুলোকে সহায়তার জন্য একটি তহবিল গঠনের কথাও বলা হয়েছে ওই প্রস্তাবে।
সম্মেলনে বিরোধপূর্ণ অবস্থানে থাকা চীন, জাপান এমনকি যুক্তরাষ্ট্রও ওই প্রস্তাবকে সমর্থন জানিয়ে তাতে সন্তোষ প্রকাশ করেছে।
সম্মেলনে অংশ নেওয়া ১৯০টি দেশের প্রতিনিধিদের প্রায় সবাই-ই প্রস্তাবের পক্ষে অবস্থান ব্যক্ত করেছে।
গ্রীন হাউস গ্যাস নিঃসরণের ফলে সূর্যের তাপ বায়ুমণ্ডলে আটকে গিয়ে জলবায়ু পরিবর্তন ঘটায়। আর এতে বৈষ্ণিক উষ্ণতা বৃদ্ধি, অতি বৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, বন্যা, ঝড় এবং আশঙ্কাজনকভাবে সমুদ্র সমতলের উচ্চতা বাড়ছে।
২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপর তাপমাত্রা বাড়লে তা পৃথিবীর জন্য ভয়াবহ দুর্যোগ বয়ে আনবে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা।
বিশ্বের পরিবেশমন্ত্রীদের এ সম্মেলনে সমঝোতা হলে তার ভিত্তিতে আগামী বছর দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবানে অনুষ্ঠেয় পরবর্তী জলবায়ু সম্মেলনে একটি চুক্তিতে পৌঁছানো যাবে।
২০১২ সালে কিয়োটো সনদের মেয়াদ শেষ হতে যাওয়ায় গত বছর কোপেনহেগেন সম্মেলনের অগ্রগতি নিয়ে মেক্সিকোর কানকুনে গত ২৯ নভেম্বর শুরু হয় জাতিসংঘের এই জলবায়ু সম্মেলন।
বাংলাদেশের পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব মিহির কান্তি মজুমদার জানিয়েছেন, কোপেনহেগেন জলবায়ু সম্মেলনে যে সমঝোতা হয়েছিলো খসড়ায় তার উলে