কানকুন, ডিসেম্বর ১০ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- কানকুন জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলনে একটি সমঝোতায় পৌঁছার লক্ষ্যে শেষ মুহূর্তের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন আলোচকরা।
আগামী বছর দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবানে অনুষ্ঠেয় পরবর্তী সম্মেলনে সমন্বিত একটি চুক্তির ভিত্তি প্রণয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন ১৯০টি দেশের প্রতিনিধিরা।
মেক্সিকোর কানকুনে গত ২৯ নভেম্বর শুরু হওয়া জাতিসংঘ জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলন ১০ ডিসেম্বর শেষ হওয়ার কথা।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সম্মেলনের সভাপতি প্যাট্রিসিয়া এসপিওনোসা সবগুলো অনানুষ্ঠানিক ওয়ার্কিং গ্র"পের কো-চেয়ারম্যানদের সঙ্গে বৈঠকে আলোচনা দ্রুত এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশের পরিবেশ ও বন প্রতিমন্ত্রী হাছান মাহমুদ একটি ইনফরমাল গ্র"পের কো-চেয়ারের দায়িত্বে রয়েছেন।
কো-চেয়ারদের প্রতিবেদনগুলো সংগ্রহ করে এসপিওনোসা বলেন, "যত দ্রুত সম্ভব আমি আপনাদের মতামতগুলো একটি নথিতে সন্নিবেশ করবো।"
পরে তিনি মন্ত্রীদের উদ্দেশ্যে বলেন, "এ বিষয়ে নতুন একটি খসড়া বৃহস্পতিবার (বাংলাদেশে শুক্রবার বিকাল) মধ্যরাতে প্রকাশ করা হবে। খুব শিগগিরই প্রতিনিধিরা সেটা পাবেন।"
এ নিয়ে তিনি পরস্পরের সঙ্গে রাতের বেলায়ও আলোচনা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।
অবশ্য অধিকাংশ জটিল বিষয় ও সেসবের বিস্তারিত আগামী বছর নিস্পত্তির জন্য রেখে দেওয়া হয়েছে। সম্মেলনের শেষ মুহূর্তে চেষ্টা করা হচ্ছে ওইসব বিষয়ে কিছুটা অগ্রগতি সাধন ও কিছু পক্ষের উত্থাপন করা উদ্বেগের বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়ার।
এছাড়া রয়েছে উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য তিন হাজার কোটি ডলারের 'ফাস্ট স্টার্ট ফাইন্যান্স' তহবিল থেকে অর্থ ছাড় দেওয়ার জন্য একটি কর্ম কৌশল প্রণয়নের ইস্যু।
এছাড়া বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির বিষয়টি নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলো এর মাত্রা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস নির্ধারণের জন্য বলছে। বর্তমানে এ মাত্রা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত নির্ধারিত রয়েছে।
গত বছর জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলনের কিয়োটো প্রোটোকল ও লিগ্যালি বাইন্ডিং চুক্তি নিয়ে বিতর্কটিও এ সম্মেলনের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/টিএ/এমআর/জেবি/কেএমএস/১৯২৫ ঘ.