দ্রুত উন্নয়নে বড় বাজেটই প্রয়োজন: প্রধানমন্ত্রী

প্রস্তাবিত বাজেটকে ‘সময়োপযোগী’ আখ্যায়িত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মানুষের দ্রুত উন্নয়নের জন্য বড় বাজেট প্রয়োজন।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 June 2012, 08:23 AM
Updated : 8 June 2012, 08:23 AM
ঢাকা, জুন ০৮ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- প্রস্তাবিত বাজেটকে ‘সময়োপযোগী’ আখ্যায়িত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মানুষের দ্রুত উন্নয়নের জন্য বড় বাজেট প্রয়োজন।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশের ১৫-১৬ কোটি মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য বড় বাজেটই করতে হবে।
“অনেকে এই বাজেটকে বড়ো বাজেট বললেও, আমার বিশ্বাস আমরা তা বাস্তবায়ন করতে পারবো। জনগণ শুভফল পাবে।”
শুক্রবার সন্ধ্যায় গণভবনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
১ লাখ ৯১ হাজার ৭৩৮ কোটি টাকা ব্যয়ের যে বাজেট অর্থমন্ত্রী প্রস্তাব করেছেন, তাতে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭ দশমিক ২ শতাংশ। আর মূল্যস্ফীতি ৭ দশমিক ৫ শতাংশের মধ্যে রাখার আশা করা হয়েছে। রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৬৭০ কোটি টাকা।
প্রস্তাবিত বাজেটের সমালোচনার জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাঁচ শতাংশ ঘাটতি নিয়েই বাজেট দিয়েছি। আগেও পাঁচ শতাংশ ঘাটতিই ছিলো।
“সাধারণ মানুষ এই বাজেটে শুভফল পাবে। কিন্তু সবচেয়ে অখুশি বিরোধীদল। তারা এখন কিছু খেতে পারছে না। তারা যথেষ্ট খেয়েছে। যথেষ্ট পাচার করেছে। সুটকেস ভরে টাকা বিদেশে পাচার করেছে। এখনও তা খেয়ে শেষ করতে পারছে না।”
এ প্রসঙ্গে তিনি দাবি করেন যে, চারদলীয় জোট সরকারের আমলে বাংলাদেশ অস্ত্র চোরাকারবারীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছিল। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল দুর্নীতি। সরকার প্রধান থেকে শুরু করে তার দুই ছেলে দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলো।
প্রধানমন্ত্রী প্রস্তাবিত বাজেটের উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলেন, প্রতিটি বাজেটের লক্ষ্য হলো শিক্ষার হার বাড়ানো, স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া, গ্রামীণ অর্থনীতিকে শক্তিশালী করা, বেকারদের কর্মসংস্থান করা, জনগণের মৌলিক চাহিদা পূরণ এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন।
তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী তেলের দাম না বাড়লে আমরা আরো ভালো করতে পারতাম। আমরা যখন শুরু করেছিলাম, তখন আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি ব্যারেল তেলের দাম ছিল ৬০ ডলার।
এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন, বিদ্যুৎ ও কৃষিসহ মানুষের যেখানে প্রয়োজন সেখানে ভর্তুকি দিচ্ছি। বিদ্যুতে আগামীতে আর ভর্তুকি দিতে হবে না। আমরা যে পদক্ষেপ নিয়েছি আগামীতে ভালো ফল পাওয়া যাবে। এই সরকারের লক্ষ্য দেশীয় শিল্পকে রক্ষা করা। এজন্য দেশীয় শিল্পকে প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে।
“আমরা চাই আর সাহায্য নির্ভর না হতে। আমরা যেন বিদেশ নির্ভর না হই।”
তিনি আরো বলেন, দুর্নীতি, খুন ও জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করে যারা সন্ত্রাস করেছিল তারা যেন আর জনগণকে জিম্মি করতে না পারে সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। দেশবাসী আর বোমার আওয়াজ শুনতে চায় না।
বক্তৃতার শুরুতেই আওয়ামী লীগ সভনেত্রী বৈঠকের আলোচ্যসূচি জানান।
এই বৈঠকে শোক প্রস্তাব, ২৩ জুন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর কর্মসূচি, সহযোগী সংগঠনগুলোর সম্মেলনের সম্ভাব্য তারিখ এবং তৃণমূল পর্যায়ের সম্মেলন ত্বরান্বিত করতে কেন্দ্রীয় নেতাদের সমন্বয়ে টিম গঠন করা হবে।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এসইউএম/এইচএ/২০১১ ঘ.