‘নূর চৌধুরীকে আনার চেষ্টা চলছে’

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি নূর চৌধুরীকে হস্তান্তরে কানাডার সঙ্গে ধারাবাহিক ও নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে সরকার।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 Dec 2011, 08:27 AM
Updated : 5 Dec 2011, 08:27 AM
ঢাকা, ডিসেম্বর ০৫ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি নূর চৌধুরীকে হস্তান্তরে কানাডার সঙ্গে ধারাবাহিক ও নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে সরকার।
সোমবার মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “নূর চৌধুরীকে হস্তান্তর বিষয়ে ‘হস্তান্তর-পূর্ব ঝুঁকি নিরুপণ’-এর মতো কতোগুলো আইনি প্রক্রিয়া নিয়ে কাজ চলছে। কানাডা থেকে ফেরত পাঠাতে দেশটির একটি আদালতের নির্দেশের আওতায় আছেন নূর চৌধুরী।”
২০০৭ সালে কানাডার একটি আদালত নূর চৌধুরীকে অবৈধ অভিবাসী ঘোষণা করে তাকে দেশে ফেরত পাঠানোর আদেশ দেয়।
কানাডা মৃত্যুদণ্ডের বিরোধী এবং কারো মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের শঙ্কা থাকলে তাকে হস্তান্তর করে না দেশটি। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি এ এইচ এম বি নূর চৌধুরী বর্তমানে কানাডা অবস্থান করছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কানাডার আইনি জটিলতার কারণে নূর চৌধুরীকে ফেরত আনার বিষয়টি একটি চলমান প্রক্রিয়া এবং তাতে অগ্রগতি আছে বলে মনে করে ঢাকা।
এর আগে রোববার পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনির সঙ্গে এক বৈঠক শেষে ঢাকায় কানাডার হাইকমিশনার হিদার ক্রুডেন সাংবাদিকদের বলেন, “আমাদের সরকারের নীতি খুবই স্পষ্ট- কেউ কোনো দেশে মৃত্যুদণ্ডের মুখোমুখি হওয়ার শঙ্কা থাকলে তাকে আমরা সেদিকে ঠেলে দেব না।”
নূরকে ফেরতের জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনির আহ্বানের কথা জানিয়ে ক্রুডেন সাংবাদিকদের বলেন, “তিনি বিষয়টি তুলেছিলেন। আমি আবার আমার সরকারকে জানাবো।”
গত ৫ অক্টোবর বঙ্গবন্ধুর দুই খুনিকে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তরের জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা সরকারের কাছে চিঠি পাঠান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আরেক আসামি এম রাশেদ চৌধুরী বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট একদল সেনাসদস্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের অধিকাংশ সদস্যকে হত্যা করে।
দীর্ঘ সময় পর এ মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১২ আসামির মধ্যে গত বছর পাঁচ জন সাবেক সেনা কর্মকর্তার ফাঁসি কার্যকর হয়।
দণ্ডিত আসামিদের মধ্যে নূর ও রাশেদসহ ছয় জন এখনো পলাতক রয়েছেন। তারা হলেন- সাবেক সেনা কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ, শরিফুল হক ডালিম, আব্দুল মাজেদ ও মোসলেহউদ্দিন। এদের ধরতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে ইন্টারপোল।
গত বছর ২৮ জানুয়ারি এ মামলার পাঁচ মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সৈয়দ ফারুক রহমান, বজলুল হুদা, সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান, মহিউদ্দিন আহমেদ ও এ কে এম মহিউদ্দিনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
গত ৫ অক্টোবর আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের হস্তান্তরের পর তাদের আইনি সুরক্ষা নিশিচত করা হবে।
“একটি ভুল ধারণা আছে যে, তারা দেশে ফিরলেই তাদের ফাঁসি দেওয়া হবে”, যোগ করেন তিনি।
আইনমন্ত্রী বলেন, আইনের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে তারা দেশে ফিরলে রায়ের বিরুদ্ধে তারা আবেদন, রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) এবং রাষ্ট্রপতির অনুকম্পা চাওয়ার সুযোগ পাবেন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এসএসজেড/এএইচ/পিডি/২০২৫ ঘ.