প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের তিন সদস্যের বেঞ্চ রোববার দুদকের লিভ টু আপিল মঞ্জুর করে এই আদেশ দেয়।
জরুরি অবস্থার সময় ২০০৭ সালের ১৩ জুন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক নূরুল আলম সূত্রাপুর থানায় আওয়ামী লীগ নেতা মায়ার বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করেন। সম্পদের তথ্য গোপন ও অবৈধভাবে ২৯ লাখ টাকার সম্পদের মালিক হওয়ার অভিযোগ আনা হয় তার বিরুদ্ধে।
পরের বছর ১৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত দুই ধারায় মায়াকে মোট ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেয়। সেই সঙ্গে তাকে পাঁচ কোটি টাকা জরিমানাও করা হয়।
ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মায়া ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে যান। তার আপিলের শুনানি করে ২০১০ সালের ২৭ অক্টোবর বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুরের হাই কোর্ট বেঞ্চ তাকে খালাস দেয়।
ওই রায়ের বিরুদ্ধে দুদক আপিল বিভাগে গেলে রোববার পুনঃশুনানির এই আদেশ আসে।
আপিল আদালতে মায়ার পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী বাসেত মজুমদার। দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশিদ আলম খান।
আদেশের পর খুরশিদ আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “হাই কোর্ট খালাসের যে রায় দিয়েছিল তা আপিল বিভাগ বাতিল করেছেন। আপিল হাই কোর্টে পুনঃশুনানি করতে বলেছেন।”
বাসেত মজুমদার বলেন, “আপিল বিভাগ লিভ টু আপিল মঞ্জুর করেছেন।”
এক প্রশ্নের জবাবে খুরশিদ আলম বলেন, “এখন তার (মায়ার) আপিল পেন্ডিং থাকবে । তিনি জামিনে আছেন বলে ধরে নেওয়া হবে।”