বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০১৫-১৬ অর্থবছরের জন্য প্রায় তিন লাখ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী।
৭ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরে নতুন অর্থবছরের বাজেটে রাজস্ব আদায় বাড়ানোর উপরও জোর দেওয়া হয়েছে। বাজেটে বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন খ্যাতে বরাদ্দ আগের বছরের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ বাড়িয়ে ৩৭২ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।
আগের বছর এ বরাদ্দের পরিমাণ ছিল ১৪৭ কোটি টাকা।
বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেন, “২০১৮ সালের মধ্যে বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা ১০ লাখে উন্নীত করতে এবং এ খাত থেকে আয় ২০০ মিলিয়ন ডলারে উন্নীত করতে পর্যটন কেন্দ্রগুলোর সুবিধা সম্প্রসারণ করা হচ্ছে।”
পরিবেশবান্ধব পর্যটনের উপর গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, “গাজীপুর ও চট্রগ্রামে দুটি ইকো পার্ক ইতিমধ্যে চালু করা হয়েছে। সিলেটে আরও একটি ইকো-পার্ক প্রতিষ্ঠার জন্য এলাকা নির্বাচন করা হয়েছে। অচিরেই এটি চালু করা হবে। এছাড়াও সুন্দরবন পর্যটন নীতিমালা হাতে নেওয়া হয়েছে।”
বেসামরিক বিমান চলাচল খাতের বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরে অর্থমন্ত্রী মুহিত বলেন, বাংলাদেশ বিমানের সক্ষমতা ও সেবার মান বাড়াতে বিমান বহরে নতুন প্রজেন্মর বেশ কয়েকটি উড়োজাহাজ সংযোজনের প্রক্রিয়া চলছে। এছাড়া খান জাহান আলী বিমানবন্দর ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।