রোববার রাতে শাহবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরিতে (জিডি) তিনি যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযমের ছেলে সাবেক সেনা কর্মকর্তা আব্দুল্লাহিল আমান আযমীর নামও উল্লেখ করেছেন।
শাহবাগ থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাল্টাপাল্টি লেখার কারণে অঞ্জন রায় এক লেখায় হুমকি মনে করায় জিডিটি করেছেন। এতে গোলাম আযমের ছেলে আব্দুল্লাহিল আমান আযমীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে।”
গত ২৮ মে মুক্তিযুদ্ধে নিহত ভারতীয় সেনা সদস্যদের নিয়ে ফেইসবুকে অঞ্জন রায়ের লেখার প্রতিক্রিয়ায় একটি পোস্টে তাকে ‘দালাল’ বলে ইঙ্গিত করেন আমান আযমী।
মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের তথ্যটি ‘কাল্পনিক’ দাবি করে যুদ্ধাপরাধীদের গুরু গোলাম আযমের ছেলে আযমী গাজী টিভির এডিটর (রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট) অঞ্জন রায়কে ইঙ্গিত করে লেখেন- ‘রায় বাবু কি তিন মিলিয়নের মতো কাল্পনিক কোনো নতুন সংখ্যা নতুন প্রজন্মকে গেলাতে চাইছেন।”
ভারতের ‘দালালি’ বন্ধের আহ্বান জানিয়ে আযমী লিখেছেন- ‘যদি কোনো হিডেন এজেন্ডা থেকে থাকে, তাহলে প্রকাশ্যে বলে ফেলুন না, দেখুন জনগণ আপনাদের মতো দেশবিরোধীদের কি উপহার দেয়।’
আযমীর নিন্দায় বোয়াফ
মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদের তথ্যকে ‘কাল্পনিক’ আখ্যায়িত করায় আব্দুল্লাহিল আমান আযমীর প্রতি নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ফোরাম (বোয়াফ)।
রোববার এক বিবৃতিতে বোয়াফের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কবীর চৌধুরী তন্ময় বলেন, “কুখ্যাত রাজাকার গোলাম আযমের পুত্র আবদুল্লাহিল আমান আযমী তার ফেইসবুক স্ট্যাটাসে মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদ এর তথ্যকে কাল্পনিক বলে যে মিথ্যাচার করেছে, তা এ প্রজন্মের কাছে অগ্রহণযোগ্য, বিভ্রান্তিকর ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি করণ।
“স্বাধীনতার ৪৩ বছর পরও স্বাধীনতাবিরোধীচক্র মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে নতুন প্রজন্মকে ভ্রান্তপথে প্রবাহিত করার ষড়যন্ত্র এখনও অব্যাহত রেখেছে।”
ভুল তথ্য দেওয়ার ষড়যন্ত্রে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে সরকারকে আহ্বান জানিয়েছে বোয়াফ। অপতৎপরতার বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সব শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা রাখার আহ্বানও জানিয়েছে তারা।