একইসঙ্গে ভূমিকম্পে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের হালনাগাদ তালিকা তৈরিরও সুপারিশ করেছে কমিটি।
বুধবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এসব সুপারিশ করা হয়।
কমিটির সদস্য তালুকদার আব্দুল খালেক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন,“সিটি করপোরেশন এবং রাজউককে সঙ্গে নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের তালিকা করতে বলা হয়েছে। এখানে বিশেষজ্ঞদেরও সঙ্গে রাখার জন্য বলা হয়েছে।
“এ কাজটি যদিও আমাদের নয়,কিন্তু দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য এসব করতে বলা হয়েছে।”
গ্যাস-বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধের সুপারিশের যৌক্তিকতা তুলে ধরে সাবেক এই দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী বলেন, “ভূমিকম্পের সময় বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগে দুর্ঘটনা ঘটে। এর থেকে বহু প্রাণহানিও ঘটতে পারে। এজন্য একটি নির্দিষ্ট মাত্রার ভূমিকম্প হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যাতে গ্যাস ও বিদ্যুৎ অটো বন্ধ হয়ে যায় সেই প্রযুক্তি ব্যবহারের সুপারিশ করা হয়েছে।”
গত ২৫ এপ্রিল নেপালে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প এবং এর পরবর্তীতে আরও বেশ কয়েকবার ভূমিকম্পে বাংলাদেশ কেঁপে ওঠে।
গত বছর ১৫ জুন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী মোশাররফ হোসেন জাতীয় সংসদে জানিয়েছিলেন, রাজউক ঢাকা মহানগরীতে ৩২১টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত করেছে।
তবে বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে রাজধানীতে এই সংখ্যা কয়েক হাজার বলা হয়েছে।
সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়,বৈঠকে সাতক্ষীরা জেলায় আইলা-সিডরে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে যারা এখনও ক্ষতিপূরণ পাননি তাদের নতুন তালিকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সুপারিশ করা হয়।
এছাড়া বৈঠকে দেশের চরাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলো চিহ্নিত করে নতুন নতুন মাটির রাস্তা নির্মাণ এবং বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠানকে সোলার প্যানেলের আওতায় আনার সুপারিশ করা হয়।
ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য দুর্যোগ ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া,তালুকদার আব্দুল খালেক, বিএম মোজাম্মেল হক, মমতাজ বেগম ও আব্দুর রহমান বদি অংশ নেন।