ইউপি ও পৌর ভোটে সাড়ে ৬০০ কোটি টাকা

আগামী বছর প্রায় সাড়ে ৬০০ কোটি টাকায় চার হাজার ইউনিয়ন পরিষদ ও তিন শতাধিক পৌরসভায় ভোট আয়োজনের প্রাথমিক প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন।

মঈনুল হক চৌধুরীবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 May 2015, 06:04 AM
Updated : 16 May 2015, 06:04 AM

নতুন অর্থবছরের বাজেটে এই বরাদ্দ রাখার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে প্রস্তাব দেওয়ার আগে নির্বাচনের উপযুক্ত পৌর ও ইউনিয়ন পরিষদের তালিকা পাঠাতে কমিশনের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের বাজেট শাখার উপসচিব শাজাহান খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, নতুন বছরে বড় দুটি ভোটের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সার্বিক বরাদ্দ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কমিশনের অনুমোদন সাপেক্ষে তা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।

দশম জাতীয় সংসদের ষষ্ঠ অধিবেশন বসছে ১ জুন। এই অধিবেশনেই ৪ জুন ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব দেবেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

কমিশনের চাহিদা প্রস্তাব কাটছাঁটের পর প্রস্তাবিত বাজেটে বরাদ্দ রাখা হলেও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নতুন বেতন কাঠামো কার্যকর হলে ভোটের খরচ বাড়বে বলে জানান শাজাহান খান।

সরকারের পাঁচ সদস্যের সচিব কমিটি বাংলাদেশ বেতন ও চাকরি কমিশনের প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে গত বুধবার যে বেতন কাঠামোর সুপারিশ করেছে, তা ১ জুলাই থেকে কার্যকরের ঘোষণা রয়েছে অর্থমন্ত্রীর।

ভোটের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর ভাতাও নতুন কাঠামো অনুযায়ী হতে পারে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা।

বাজেট শাখার জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব এনামুল হক জানান, ইউনিয়ন পরিষদের ভোটের জন্য প্রায় সাড়ে ৫০০ এবং পৌরসভা ভোটের জন্য প্রায় ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রস্তাব থাকছে। তবে নির্বাচন পরিচালনায় দ্বিগুণেরও বেশি ব্যয় হয় নিরাপত্তায়।

বর্তমানে দেশে ৪ হাজার ৫৭১টি ইউনিয়ন পরিষদ ও ৩১৯টি পৌরসভা রয়েছে।

সর্বশেষ ২০১১ সালে এটিএম শামসুল হুদার নির্বাচন কমিশন ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভা নির্বাচন করে।

ওই বছরের ১২ থেকে ১৮ জানুয়ারির মধ্যে ৩০৮ পৌরসভার আড়াইশর বেশিটিতে ভোট হয়।

এছাড়া একই বছরের ২৯ মার্চ থেকে ৩ এপ্রিল উপকূলীয় ২৪ উপজেলার প্রায় ৬০০ ইউনিয়ন পরিষদে এবং ৩১ মে থেকে ৫ জুলাই দেশের বাকি ইউনিয়ন পরিষদে ভোট হয়।

ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভা আইন অনুযায়ী, আগের নির্বাচনের পাঁচ বছর পূর্ণ হওয়ার ছয় মাসের মধ্যে (মেয়াদ শেষের আগের ১৮০ দিন) ইউনিয়ন পরিষদ এবং মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ৯০ দিনের মধ্যে পৌরসভায় ভোট করতে হয়।

এ হিসাবে নভেম্বর-ডিসেম্বর থেকে পর‌্যায়ক্রমে পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের ভোটের জন্য প্রস্তুতি শুরু হবে বলে জানান নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ।

তিনি বলেন, “মেয়াদের মধ্যে পৌর ও ইউপি ভোট করতে হবে আমাদের।সেক্ষেত্রে জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি যথাযথ সময়। বছরের শুরুতে উপযুক্ত এলাকাগুলোর ভোট করা হতে পারে, যা পর‌্যায়ক্রমে জুন-জুলাই পর্যন্ত চলবে।”

এরই মধ্যে শূন্য হওয়া স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর উপ নির্বাচনও চলছে বলে জানান এ নির্বাচন কমিশনার।