বুধবার সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে তাদের শপথ পড়ানো হয়।
প্রথমে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম তিন সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলরদের শপথ পড়ান।
এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা উত্তরের মেয়র আনিসুল হক, ঢাকা দক্ষিণের সাঈদ খোকন ও চট্টগ্রামের আ জ ম নাছির উদ্দিনকে শপথ বাক্য পাঠ করান।
শপথে বলা হয়, “আমি সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হইয়া সশ্রদ্ধ চিত্তে শপথ করিতেছি যে, আমি ভীতি বা অনুগ্রহ, অনুরাগ বা বিরাগের বশবর্তী না হইয়া সকলের প্রতি আইন অনুযায়ী এবং সততা, নিষ্ঠা ও বিশ্বস্ততার সহিত আমার পদের দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করিব। আমি বাংলাদেশের প্রতি অকৃত্রিম বিশ্বাস ও আনুগত্য পোষণ করিব।”
কাউন্সিলরা তাদের জন্য নির্দিষ্ট আসনে দাঁড়িয়ে এবং পরে মেয়ররা মঞ্চে প্রধানমন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে শপথ পড়েন।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় ঢাকা দক্ষিণের মেয়রের মাথায় সস্নেহে হাত বুলিয়ে দেন।
এরপর চট্টগ্রামের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনও প্রধানমন্ত্রীর পা ছুঁয়ে সালাম করেন। ঢাকা উত্তরের মেয়র আনিসুল হক এ সময় পাশে দাঁড়িয়েছিলেন।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব আবদুল মালেক।
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী; বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ; শিল্প মন্ত্রী আমির হোসেন আমু; বাণিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমদ; কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী; বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন; খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম; পানিসম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ; প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা মশিউর রহমান, তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, হোসেন তৌফিক ইমাম ও ইকবাল সোবহান চৌধুরী; স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গাসহ মন্ত্রিসভার সদস্য, সাংসদ, লেখক সৈয়দ শামসুল হকসহ সহস্র নাগরিক কমিটির সদস্য, আনিসুল হকের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সমন্বয়ক আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ফারুক খান ও সাঈদ খোকনের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সমন্বয়ক আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক এবং তিন মেয়রের পরিবারের সদস্যরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া সশস্ত্র বাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লে. জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক এবং পুলিশের মহাপরিদর্শক এ কে এম শহিদুল হক সস্ত্রীক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
পবিত্র ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠের মধ্য দিয়ে শুরু হয় শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান।
গত ২৮ এপ্রিল তিন সিটিতে এই নির্বাচনের পর ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে বিজয়ী প্রার্থীদের নাম-ঠিকানাসহ বৃহস্পতিবার গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন।
তিন মেয়র পদের পাশাপাশি ঢাকা উত্তরে সাধারণ ওয়ার্ডে ৩৬ জন, নারীদের জন্য সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ১২ জন; দক্ষিণে ৫৭ জন সাধারণ ওয়ার্ডে ও ১৯ জন সংরক্ষিত কাউন্সিল এবং চট্টগ্রামে ৪১ জন কাউন্সিলর ও ১৪ জন সংরক্ষিত কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন।
এ নির্বাচনে মেয়র পদে ৪৪ শতাংশ ভোট পড়ে। সাধারণ কাউন্সিলর পদে ঢাকার দুই ভাগে ৪১ শতাংশ, চট্টগ্রামে ৪৯ শতাংশ এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৪২ শতাংশ ভোট পড়ে।