আলোচনায় ব্যালট, প্রার্থীর ছবি

কেবল প্রতীক নয়, সব নির্বাচনেই ব্যালট পেপারে প্রার্থীদের ছবি ব্যবহারের পক্ষে মত দিয়েছেন একজন নির্বাচন কমিশনার।

মঈনুল হক চৌধুরীবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 May 2015, 04:42 AM
Updated : 3 May 2015, 05:02 AM

সিটি করপোশেন নির্বাচনে প্রতীক নিয়ে প্রার্থীদের অভিযোগের মধ্যে এমন মত দিয়েছেন জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কমিশনার আবদুল মোবারক।

তিনি বলে, “ব্যালট পেপারে ভোটারদের সুবিধার জন্য প্রার্থীর ছবি রাখা প্রয়োজন। প্রতীক দেখে নয়, প্রার্থীর পরিচয় জেনে ভোট হবে। অনেক প্রতীক রয়েছে মানুষের চিনতে ও বুঝতে কষ্ট হয়। ছবি রাখলে প্রার্থীরা নিজের চেহারা দেখানোর জন্য হলেও ভোটারের কাছে  যাবেন।”

তবে নিবন্ধিত দলের প্রার্থীরা প্রতীকও ব্যবহার করতে পারেন বলে মত দেন মোবারক।

প্রচলিত পদ্ধতিতে সংসদ নির্বাচনে ও সিটি মেয়র পদে ব্যালট পেপারে প্রার্থীর নাম ও প্রতীক থাকে; বাকি নির্বাচনগুলোর বিভিন্ন পদে শুধু প্রতীক থাকে ব্যালটে।

ঢাকা উত্তর, দক্ষিণ ও চট্টগ্রামে গত সপ্তাহে হয়ে যাওয়া সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রতীক নিয়ে আপত্তি তোলেন সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডের অনেক কাউন্সিলরপ্রার্থী।

সব ধরনের স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রার্থীদের কেন নিজস্ব রাজনৈতিক দলের প্রতীক বরাদ্দ ও ব্যবহারের সুযোগ দেওয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে উচ্চ আদালতের একটি রুলও এসেছে এর মধ্যে।

সংসদ নির্বাচন ও নির্দলীয় স্থানীয় সরকার নির্বাচনে চারটি স্তরের জন্য আলাদা আলাদা প্রতীক রেখেছে কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশন।

নির্বাচন কমিশনার আবদুল মোবারক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সংসদ নির্বাচনে নিবন্ধিত দলগুলোকে নিজস্ব প্রতীক দেওয়া হয়েছে। আমার মত হচ্ছে, দলীয় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা দলীয় প্রতীক পাবে, আর স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ছবি থাকতে পারে ব্যালট পেপারে।”

নির্দলীয়ভাবে স্থানীয় নির্বাচন হওয়ায় সিটি, পৌর, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সব প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর ছবি ‘ব্যালটে রাখা ভাল’ বলেও মত দেন তিনি।

এ নির্বাচন কমিশনারের যুক্তি, “তাতে প্রতীক নিয়ে প্রার্থীদের আর আপত্তি করার সুযোগ থাকবে না; ভোটাররাও তাদের প্রার্থীকে চিনবেন। মার্কা জনপ্রিয় হবে না, প্রার্থীকে জনপ্রিয় হতে হবে।”

আবদুল মোবারক এমন মত দিলেও এর বাস্তবায়নের বিষয়টি অনেকখানি রাজনৈতিক দলের সিদ্ধান্তের উপরই নির্ভর করবে বলে ইসি কর্মকর্তারা জানান।

এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, “স্থানীয় নির্বাচন এখনও পর্যন্ত নির্দলীয় নির্বাচন। নির্বাচন কমিশনের ইচ্ছায় এ নির্বাচন দলীয় হবে না; দলগুলো সিদ্ধান্ত নিলেই দলীয়ভাবে হতে পারে।”

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও সম্প্রতি স্থানীয় নির্বাচন দলীয়ভাবে করার পক্ষে মত দেন।

দলীয়ভাবে স্থানীয় নির্বাচন হলে আচরণবিধিসহ নির্বাচনী আইনে সংস্কার আনতে হবে। সেক্ষেত্রে দলীয় প্রধান ও রাজনৈতিক ব্যক্তির ছবিসম্বলিত প্রচারপত্রে নিষেধাজ্ঞাও উঠে যাবে।