এক্ষেত্রে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতে চলার ঘোষণা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের এই নেতা।
নির্বাচনে বিজয়ের পর বুধবার সকালে নগরীর আন্দরকিল্লায় নিজের বাসায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন নাছির।
সকাল থেকেই নেতাকর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা ভিড় করছিলেন আ জ ম নাছিরের বাসায়। ফুলেল শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাতে নেতাকর্মীদের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে তার বাসভবনের নিচে।
নাছির উদ্দিন বলেন, “এখন তো বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছি। এরপর গেজেট হবে। যেদিন থেকে আনুষ্ঠানিক দায়িত্ব নেব সেদিন থেকে অপনারা এক নতুন সিটি করপোরেশন দেখতে পাবেন।
“আগে কে কী করেছে, তা আমি দেখব না। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ৬০ লাখ মানুষকে সেবা দেওয়ার প্রতিষ্ঠান। এখানে দায়িত্বে অবহেলা করলে তার প্রতি আমার ‘জিরো টলারেন্স’ থাকবে।”
নগরীর পরিচ্ছন্নতাকে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ শুরু করবেন জানিয়ে নাছির বলেন, “পরিচ্ছন্ন নগর গড়তে তো আর টাকা লাগে না। নগরবাসীর সহযোগিতা পেলে এ কাজে শিগগির সফলতা আসবে।
“এখন যেহেতু বর্ষাকাল জলাবদ্ধতার জন্য তাৎক্ষণিকভাবে তো কিছু করা যাবে না। নগরবাসীকে তাই আমাকে সময় দেওয়ার ও সহযোগিতা করার আহ্বান জানাচ্ছি।”
জলাবদ্ধতার সমস্যা নিরসনে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে এগোবেন বলে জানান নাছির উদ্দিন।
নগরীর বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের জন্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে কর্মপন্থা ঠিক করবেন বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, “নগরবাসী ম্যান্ডেট দিয়ে যে গুরুদায়িত্ব অর্পণ করেছে সেটা পালনে সর্বোচ্চ নিষ্ঠা ও আন্তরিকতা দিয়ে কাজ করে যাব।”
কয়েকদিনের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করতে যাবেন বলেও জানান তিনি।
বিকালে নগরীর চশমা হিলে নগর আওয়ামী লীগ সভাপতি এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর বাসায় যান একই কমিটির সাধারণ সম্পাদক নাছির।
সাবেক মেয়র মহিউদ্দিন বাসার নিচতলায় নেমে নাছিরকে বরণ করেন। তারপর তাকে নিয়ে দ্বিতীয় তলার বসার ঘরে যান তিনি।
কুশল বিনিময় শেষে নাছির বিদায় নিতে চাইলে মহিউদ্দিন তাকে মিষ্টি ও চা না খাইয়ে ছাড়বেন না বলে জানিয়ে দেন।
হাস্যরসের মধ্যেই টেবিলে চলে আসে মিষ্টির থালা। সদ্য নির্বাচিত মেয়র নাছিরকে মিষ্টি খাইয়ে দিতে দিতে মহিউদ্দিন বলেন, নবনির্বাচিত মেয়রের কাজ যেন মিষ্টির মতো মধুর হয়।
এসময় মহিউদ্দিনের পাশে ছিলেন তার ছেলে ও নগর আওয়ামী লীগের কমিটির সদস্য চৌধুরী মহিবুল হাসান নওফেল।
মিষ্টি পর্ব শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের মহিউদ্দিন বলেন, “আমরা আশাবাদী নাছির চট্টগ্রামবাসীর প্রত্যাশা অনুযায়ী চট্টগ্রামের উন্নয়নকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন।”
সিটি করপোরেশনের আওতায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বাড়ানোর পরামর্শ দেন মহিউদ্দিন।
নাছিরকে উদ্দেশ্যে করে মহিউদ্দিন বলেন, “ছাত্র-ছাত্রীদের আমরা পড়াশুনায় উদ্বুদ্ধ করার জন্য বৃত্তি প্রদান করেছিলাম যা মনজুর সাহেব বন্ধ করে দিয়েছিলেন।”
নাছিরের সঙ্গে ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আলাউদ্দিন নাসিম ও কক্সবাজার জেলা থেকে নির্বাচিত সাংসদ আশেক উল্লাহ রফিক।
এর আগে সকাল ১১টার দিকে প্রধান নির্বাচনী ক্যাম্প প্রিয়া কমিউনিটি সেন্টারে একটি হাতি নিয়ে এসে নাছিরকে অর্ভ্যথনা জানানো হয়। রাঙ্গুনিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের এ আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হাছান মাহমুদ।