চট্টগ্রামে জয় ‘দেখছেন’ নাছির

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার এক ঘণ্টার মধ্যে নিজের বিজয়ের আশা প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র পদপ্রার্থী আ জ ম নাছির উদ্দিন।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 April 2015, 03:19 PM
Updated : 28 April 2015, 06:59 PM

বিকাল ৫টায় নগরীর এসএস খালেদ সড়কের রিমা কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “আপনাদের সহযোগিতা চাই। যা হয় তা মেনে নেব। আমি আশাবাদী, ফল আমাদের অনুকূলে যাবে। যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছি তা পূরণ করব।”

মঙ্গলবার সকাল ৮টায় চট্টগ্রামের ৭১৯টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। এর তিন ঘণ্টার মাথায় কেন্দ্র দখল ও ভোট জালিয়াতির অভিযোগ তুলে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন নাছিরের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী মনজুর আলম।  

কয়েকটি কেন্দ্র ঘুরে ব্যালট ছিনতাই ও নাছিরের প্রতীক হাতিতে সিল মেরে বাক্সে ফেলার প্রমাণ পান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রতিবেদকরাও। 

বিকাল ৪টায় ভোট শেষে ৫টায় নাগরিক কমিটি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হন নাছির। এ সময় তার হাতে ‘হাতি’ প্রতীকের একটি রেপ্লিকা তুলে দেন রাউজানের সাংসদ ফজলে করিম চৌধুরী।

জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা এ সময় নাছিরের সঙ্গে কোলাকুলি করেন। উপস্থিত কর্মী-সমর্থকরা নাছিরের নামে শ্লোগান দিতে ‍থাকেন।

নাছিরের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ নেতা মোসলেম উদ্দিন আহমদ বলেন, “উৎসমুখর পরিবেশে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ধন্যবাদ। পরিবেশ সুষ্ঠু রাখায় নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ। এখনও ফলাফল হয়নি। যা হয় তা মেনে নেব।” 

ভোট কেন্দ্রে অরাজকতা এবং বিএনপিসমর্থিত প্রার্থীর ভোট বর্জনের বিষয়ে এক প্রশ্নে মোসলেম উদ্দিন বলেন, “কোনো প্রকার হাতাহাতি, এমনকি বাকবিতণ্ডাও কোথাও হয়নি। তারপরও তিনি সরে গেছেন। এ নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হয়েছে।”

মনজুর আলম অনেক কেন্দ্রে ‘এজেন্ট না পাঠালেও’ এজেন্টকে ‘বের করে দেওয়ার’ অভিযোগ এনেছেন বলে মন্তব্য করেন এই আওয়ামী লীগ নেতা।  

সকালে ভোটের সময় একটি কেন্দ্রে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেন মোসলেম উদ্দিন।

এ সময় সাংবাদিকরা প্রার্থী নাছিরকে প্রশ্ন করতে চাইলে তিনি নিজেই মাইক্রোফোন টেনে নিয়ে বলেন, “কিছু বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। যেহেতু এখনও ফল ঘোষণা হয়নি, তাই কিছু বলব না।”

সাংসদ সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারি, নগর আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি নুরুল ইসলাম বিএসসি, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আলম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক এম এ সালাম, দক্ষিণ জেলার সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।