ভেতরে জাল ভোট, নিষ্ক্রিয় কর্মকর্তা-পুলিশ

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কবি নজরুল কলেজে এক দল তরুণকে জালভোট দিতে দেখা গেলেও তা ঠেকাতে কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি নির্বাচন কর্মকর্তা কিংবা পুলিশকে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 April 2015, 01:24 PM
Updated : 28 April 2015, 02:25 PM

মঙ্গলবার বেলা পৌনে ২টার দিকে বাহাদুর শাহ পার্কের পাশের এই কলেজের তিন নম্বর বুথে সাংবাদিকদের সামনেই জালভোট দিতে দেখা যায় ১০ ব্যক্তিকে।

ব্যালট পেপার নিয়ে ক্রমাগত সিল মারছিলেন তারা। এক সাংবাদিক ছবি তুললে আবু নামের একজন ক্যামেরা জোর করে নিয়ে ছবি মুছে দেন। তিনি পাশে থাকা সায়েম নামের একজনকে বলছিলেন, “লোকজন নিয়ে আয়।”

আবু নামে ওই ব্যক্তি সাংবাদিকদের বলেন, “আমাদের কাজ আমাদের করতে দেন, আপনারা আপনাদের কাজ করেন ।”

তবে ওই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ দাবি করেন, তার কেন্দ্রে কোনো ‘অস্বাভাবিক’ পরিস্থিতি নেই।

সাংবাদিকরা জাল ভোট দিতে দেখার কথা জানালে তিনি বলেন, “আপনারা দেখতে পারেন, আমি দেখি নাই।”

৩ নম্বর বুথে জাল ভোট দেওয়ার সময় চারজন পোলিং কর্মকর্তা বারান্দায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। প্রার্থীর এজেন্টরা বুথের ভেতরে ঘোরাঘুরি করছিলেন ।

পুলিশ এবং আনসার সদস্যদের ওই সময় বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।

আবু নিজেকে এক কাউন্সিলর প্রার্থীর জামাতা হিসেবে পরিচয় দেন।

ওই সময় কেন্দ্রের আরও তিনটি বুথে কয়েকজনকে ব্যালট পেপার নিয়ে সিল মারতে দেখা যায়। তবে সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা বেরিয়ে আসেন।

একই কেন্দ্রে সকাল ৯টার দিকে একটি বুথের সামনে থেকে কিছু ভোটারকে ফিরে আসতে দেখা যায়। কেন্দ্রের সিঁড়িতে নামার সময় তারা বলছিলেন, ব্যালট পেপার শেষ।

মঙ্গলবার ঢাকা উত্তর ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের পাশাপাশি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলে।

নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ তুলে দুপুরেই বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন। তবে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে বলে দাবি করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারা।

নানা অভিযোগের মধ্যেও ‘সার্বিকভাবে ভোট সুষ্ঠু হয়েছে’ দাবি করে ইসি সচিব সিরাজুল ইসলাম বলেছেন, “কমিশনে তেমন কোনো অভিযোগ আসেনি। যদি কিছু পাওয়া যায় তা কমিশন বিবেচনা করবে।”