সকাল ৯টার দিকে ভোট দিয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “নগরবাসী দীর্ঘদিনের হতাশা দূর করতে ভোট দিবে। জয়ের ব্যাপারে আমার ধারণা দৃঢ় হয়েছে।
“ফলাফল যাই হোক মেনে নেব। দুটি দল একসঙ্গে জিততে পারে না। ভোট অবশ্যই সুষ্ঠু হবে।”
নিজেকে একজন খেলোয়াড় উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমি একজন খেলোয়াড়। খেলার মাঠে আমার বিপক্ষে কেউ খারাপ খেললে তার ব্যর্থতা তো আমার নয়।”
চট্টগ্রাম মিউনিসিপ্যাল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রের পাঁচ নম্বর বুথে ভোট দেন নাছির। এ কেন্দ্রের ছয়টি বুথের মধ্যে তিনটিতে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী মনজুর আলমের কোনো এজেন্টকে দেখা যায়নি।
বাকি তিন বুথে এজেন্ট থাকলেও তাদের গলায় কোনো কার্ড ঝুলাতে দেখা যায়নি।
বিভিন্ন জায়গায় কেন্দ্র দখলের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ নেতা নাছির উদ্দিন বলেন, “এটা অপকৌশল মাত্র। গত সাত বছর যিনি মেয়র ছিলেন তিনি কিছুই করেননি নগরবাসীর জন্য। শুধু নিজের আখের গুছিয়েছেন।”
এছাড়া জাতীয় পার্টি সমর্থিত সোলায়মান আলম শেঠ ডিস এন্টেনা, বিএনএফ’র আরিফ মঈনুদ্দীন টেলিভিশন, ইসলামী ফ্রন্ট সমর্থিত এম এ মতিন চরকা, ইসলামিক ফ্রন্ট সমর্থিত হোসেন মোহাম্মদ মুজিবল হক শুক্কর ময়ূর প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন।
অন্যদের মধ্যে সৈয়দ সাজ্জাদ জোহা ক্রিকেট ব্যাট, ওয়ায়েজ হোসেন ভুঁইয়া টেবিল ঘড়ি, শফিউল আলম ইলিশ মাছ, সাইফুদ্দিন আহমেদ রবি ফ্লাক্স, আবুল কালাম আজাদ দিয়াশলাই এবং গাজী মো. আলাউদ্দিন টেলিস্কোপ প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে মোট ভোটার ১৮ লাখ ১৩ হাজার ৪৪৯ জন। এর মধ্যে ৯ লাখ ৩৭ হাজার ৫৩ জন পুরুষ এবং ৮ লাখ ৭৬ হাজার ৩৯৬ জন মহিলা ভোটার।