ভূমিকম্পের পরপরই সচিবালয়ের সবগুলো ভবনের কর্মচারী-কর্মকর্তাদের সিঁড়ি দিয়ে গাদাগাদি করে নিচে নামতে দেখা যায়।
বড় ধরনের ভূমিকম্পে বহু মানুষ হতাহতের পরদিন পরাঘাতে কেঁপে উঠে নেপাল, ভারত ও বাংলাদেশ।
রোববার বাংলাদেশ সময় বেলা ১টা ৯ মিনিটে এই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল নেপালের কোদারি থেকে ১৭ কিলোমিটার দূরে। বাংলাদেশের প্রায় সব জেলা থেকেই ভূকম্পন অনুভূত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে ভবনগুলোতে। যে যার মত নিচে নামতে ছুটাছুটি শুরু করেন।
সচিবালয়ের সবচেয়ে বড় ভবনের (৬ নম্বর-২০ তলা) কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সবচেয়ে বেশি আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
আতঙ্কে নেমে পড়েন বিমানমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার ও শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ার পরপরই মন্ত্রী ও তার একান্ত সচিবের সঙ্গে তিনিও নিচে নামেন।
“২০ তলা ভবনের ৭ তলা থেকে সিঁড়ি দিয়ে যখন নিচে নামছিলাম তখন সিঁড়িতে বেশ ভিড় ছিল। হুড়োহুড়ি করে সবাই নামছিল। ভিড়টা আর একটু বেশি হলে অনেকে পায়ের নিচে পড়ত।”
বিভিন্ন ভবন থেকে নিচে নেমে আসা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রায় ৩০ মিনিট খোলা জায়গায় অপেক্ষা করে দপ্তরে ফিরতে দেখা যায়।
তাৎক্ষণিকভাবে দেশের কোথাও হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
আগের দিন নেপালে ৭ দশমিক ৯ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে বাংলাদেশ, ভারতও।
ভূমিকম্পে শুধু নেপালেই দুই হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বিধ্বস্ত হয়েছে বহু ঘরবাড়ি।
বাংলাদেশেও মাটির দেয়ালে চাপা পড়ে, আতঙ্কে হুড়োহুড়িতে এবং ভূমিকম্পের সময় নৌকাডুবে চারজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
এদিন ভূমিকম্প অনুভূত হলে সচিবালয়ের মতো ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় অফিস ও বাসাবাড়ি থেকে লোকজনকে বেরিয়ে বেশ কিছুক্ষণ রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।