নিজেকে নিয়ে রসিকতা করে গভর্নর আতিউর রহমানকে তিনি বললেন, “নতুন ফকির রাস্তায়।”
রোববার বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) ‘ই-কমার্স অ্যাল্যায়েন্স’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আনিসুল ছিলেন বিশেষ অতিথি।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ অনুষ্ঠানের মঞ্চে এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি আনিসুল হকের জন্য একটি চেয়ার রাখা ছিল। সামনে রাখা ছিল নামফলক।
কিন্তু আওয়ামী লীগ সমর্থিত এই মেয়র প্রার্থী সেখানে বসতে আপত্তি জানালে নামফলক সরিয়ে ফেলা হয়। তিনি বসেন অতিথিদের জন্য রাখা চেয়ারের দ্বিতীয় সারিতে। অবশ্য এক পর্যায়ে তিনি মঞ্চে উঠে বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানের অতিথিদের অনেকেই আনিসুল হকের কাছে নির্বাচনের খবর জানতে চান। কেউ কেউ তাকে আগাম অভিনন্দনও জানান।
মঞ্চে না বসলেও তাদের সঙ্গে নির্বাচন নিয়ে কথা বলেন আনিসুল হক। কয়েকজনের অনুরোধে ক্যামেরার সামনেও দাঁড়ান।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান অনুষ্ঠানস্থলে এলে আনিসুল হক এগিয়ে গিয়ে তার সঙ্গে হাত মেলান।
গভর্নর হাসতে হাসতে বলেন, “আরে! কেমন আছেন। আপনি এখানে? আপনি এসেছেন, আবার কেউ পলিটিক্যালি ভাবে কি না।”
“পলিটিক্যাল তো ভাববেই”, জবাবে বলেন আনিসুল।
নিজের পালায় বক্তব্য দিতে দাঁড়িয়ে আনিসুল হক বলেন, “মঞ্চে আমার একটি আসন ছিল। ভয়ে বসিনি। এই যে সামনে ছবি তুলছেন...কোন দিক দিয়ে কী হয়। এজন্য সামনের সারিতেও বসিনি, দ্বিতীয় সারিতে বসেছি।”
মূলত গার্মেন্ট ব্যবসায়ী আনিসুল হক বলেন, “আমি ই-কমার্স নিয়ে বিশেষ বলতে পারব না। তবে আমি স্বপ্নের মানুষ, স্বপ্নের কথা বলতে পারব। আজকের তৈরি পোশাক শিল্পের জন্য যেমন বাংলাদেশ পরিচিত, দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য যেমন পরিচিত, এগিয়ে যাওয়ার জন্য যেমন পরিচিত, আশা করি অচিরেই আমরা ই-কমার্স নিয়ে বিশ্বে ওইরকম পরিচিতি পাব।”
বক্তৃতা শেষ করে মঞ্চ থেকে নামার সময় এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমদকে উদ্দেশ্য করে আনিসুল হক বলেন, “স্যার আপনার-আমার স্বপ্ন দেখার বয়স শেষ। এখন সময় ওদের।”
কাজী আকরাম এ সময় বলেন, “আমরা তো আপনার জন্য স্বপ্ন দেখছি।”
জবাব দিতে গিয়ে আনিসুল উপস্থিত সাংবাদিকদের দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, “এ বিষয়ে ওদের জন্য তো কিছু বলতে পারছি না।”
অনুষ্ঠান চলতে থাকা অবস্থায় বক্তৃতা শেষ করেই চলে যান আনিসুল হক।