তবে স্ত্রী, পুত্র ও কন্যার নামে বাড়ি অ্যাপার্টমেন্ট ও টাকা রয়েছে বলে নির্বাচন কমিশনকে তিনি জানিয়েছেন।
আদালতের আদেশে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতাসহ সাত দফা তথ্য দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। বিধান রয়েছে হলফনামার তথ্য জনসম্মুখে প্রচারেরও।
মোহাম্মদী গ্রুপসহ ২২ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত ‘ব্যবসায়ী’ আনিসুল হক হলফনামায় যে ৭৫ লাখ ৮২ হাজার টাকা বার্ষিক আয়ের তথ্য দিয়েছেন তার মধ্যে বাড়ি ভাড়া থেকে ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা, ব্যবসায় ২৫ লাখ টাকা, শেয়ারে ১ লাখ ৬১ হাজার টাকা, এফডিআর মুনাফাসহ অন্যান্য খাতে ৪৫ লাখ ৮৯ হাজার টাকা আয়ের তথ্য রয়েছে।
নিজের নামে অস্থাবর সম্পদ রয়েছে ২১ কোটি ৭৬ লাখ টাকার।
এর মধ্যে নগদ টাকা ১ কোটি ৯৫ লাখ টাকা, বন্ড, ঋণপত্র ও কোম্পানির শেয়ার বাবদ ১১ কোটি ৪৮ লাখ টাকা, স্থায়ী আমানত ৩ কোটি ৫৩ লাখ টাকা, স্বর্ণ ও অলঙ্কার মিলিয়ে ১১ লাখ ১১ হাজার টাকার তথ্য রয়েছে।
তিনি ঋণ দিয়েছেন ৫ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। এছাড়া স্ত্রী ও ছেলেমেয়ের নামে ৭ কোটি টাকারও বেশি সম্পদ রয়েছে বলে আনিসুল জানিয়েছেন।
আনিসুল হক তার অস্থাবর সম্পত্তিতে বাস, ট্রাক, লঞ্চ, মটরগাড়ি, স্টিমার, বিমান, মটরসাইকেল ইত্যাদির বিষয়ে কোনো তথ্য দেননি।
তার স্থাবর সম্পত্তির মধ্যে ৩ কোটি ৫৭ লাখ টাকার অকৃষি জমি, স্ত্রীর নামে ৭০ লাখ টাকার বাড়ি/অ্যাপার্টমেন্ট এবং ছেলে ও দুই মেয়ের নামে ৩.৮৫ কাঠা জমির তথ্য হলফনামায় এসেছে।
আনিসুল হকের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নামে ঋণের পরিমাণ ১৫১ কোটি টাকার বেশি এবং এর সবই নিয়মিত ঋণ বলে তিনি উল্লেখ করেছেন।
এছাড়া তার জামানতবিহীন দায়ের পরিমাণ ৫ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
হলফনামায় আনিসুল নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা উল্লেখ করেছেন ‘এমএ’। তার নামে কোনো মামলা নেই বলে হলফ নামায় উল্লেখ করেছেন।
গত রোববার ছিল ঢাকা ও চট্টগ্রামের তিন সিটিতে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। এর মধ্যে ঢাকা উত্তরে এখন পর্যন্ত মেয়র পদের লড়াইয়ে আছেন মোট ২১ জন।
বাছাই ও প্রত্যাহার শেষে ৯ এপ্রিল প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করবে ইসি।