ওয়াশিকুরহত্যা: চার জনকে আসামি করে মামলা

রাজধানীতে অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ও ব্লগার ওয়াশিকুর রহমান ওরফে বাবু হত্যার ঘটনায় চার জনকে আসামি করে নিহতের ভগ্নিপতি একটি মামলা করেছেন।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 March 2015, 06:52 PM
Updated : 31 March 2015, 04:34 AM

আমাসিরা হলেন, গ্রেপ্তার হওয়া জিকরুল্লাহ ও আরিফুল ছাড়াও আবু তাহের ও মাসুম নামে আরও দুই জন।

তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার ওসি মো. সালাহ উদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “রাত সাড়ে ১০টার দিকে ওয়াশিকুর রহমান বাবুর ভগ্নিপতি মনির হোসেন মাসুদ বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন।”

গ্রেপ্তার দুই জনের প্রাথমিক স্বীকারোক্তি অনুযায়ী আবু তাহের ও মাসুমের নাম দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

তেজগাঁও জোনের পুলিশের একজন সহকারী কমিশনার নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “মাসুমই তিনজনকে দক্ষিন বেগুন বাড়ির ওই স্থান দেখিয়ে ওয়াশিকুরকে হত্যার কথা বলেন। গ্রেপ্তারকৃত দুই জন একে আপরকে চিনেন না এবং আগে তাদের কখনও দেখাও হয়নি।”

তিনি বলেন, তারা যে ধরনের তথ্য দিচ্ছেন তা যাচাই বাছাই করা হচ্ছে।

তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের বেগুনবাড়িতে সোমবার সকালে এই হত্যাকাণ্ডের পরপরই জনতা ধাওয়া করে ওই দুই জনকে ধরে ফেলে। তিন হামলাকারীর মধ্যে এই দুই জন ছিলেন বলে স্থানীয়দের দাবি।

তাদের গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, ধর্মীয় মতাদর্শ নিয়ে লেখালেখির কারণে বিরোধ থেকে ওয়াশিকুরকে হত্যার কথা গ্রেপ্তার দুজন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন।

২৭ বছর বয়সী ওয়াশিকুর তেজগাঁও কলেজ থেকে লেখাপড়া শেষ করে মতিঝিলের ফারইস্ট এভিয়েশন নামের একটি ট্র্যাভেল এজেন্সিতে প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করছিলেন। তার বাবার নাম টিপু সুলতান, বাড়ি লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার হাজীপুর গ্রামে।

সামহোয়্যারইন ব্লগে ‘বোকা মানব’ নামে একটি অ্যাকাউন্ট থাকলেও তিনি মূলত লেখালেখি করতেন ফেইসবুকের কয়েকটি অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে।

এর আগে হত্যাকাণ্ডগুলোর সময় আনসারুল্লা বাংলা টিমসহ কয়েকটি জঙ্গি সংগঠনের নাম এলেও জিকরুল ও আরিফুল কোনো সংগঠনে জড়িত কি না, তা এখনও নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ। 

এদিকে ওয়াশিকুরের মৃতদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গ থেকে সোমবার রাতে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।