পাটুরিয়ায় লঞ্চডুবি: পাঁচ জেলায় ৪৭ লাশ দাফন

পাটুরিয়ায় মালবাহী জাহাজের ধাক্কায় পদ্মা পারাপারের লঞ্চডুবিতে নিহতদের মধ্যে কুষ্টিয়া, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, গোপালগঞ্জ ও পাবনায় ৪৭ জনের লাশ দাফন হয়েছে।

জেলা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Feb 2015, 01:10 PM
Updated : 23 Feb 2015, 01:10 PM

এর মধ্যে রয়েছে কুষ্টিয়ায় ২০ জন, ফরিদপুরে ১৩ জন, রাজবাড়ীতে ১০ জন, গোপালগঞ্জে তিন জন এবং পাবনায় একজনের লাশ।

রোববার দুপুর ১২টার দিকে পাটুরিয়ার ঘাট থেকে দৌলতদিয়ার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার ১০ মিনিটের মাথায় মাঝনদীতে একটি কার্গো জাহাজের ধাক্কায় ডুবে যায় এমএল মোস্তফা-৩ নামের লঞ্চটি।

এর মধ্যে সোমবার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত উদ্ধারকর্মীরা মোট ৬৯ জনের মৃতদেহ পেয়েছেন, যার মধ্যে শনাক্ত হওয়া ৫৭টি মৃতদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

আর শনাক্ত না হওয়া বাকি ১২টি লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখার কথা রয়েছে।

কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, এ জেলায় নিহতদের মধ্যে খোকসা উপজেলার চারজন, কুমারখালী উপজেলার ১১ জন, সদর উপজেলার চারজন এবং মিরপুর উপজেলার একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

রোববার রাতে ও সোমবার নিহতদের বাড়িতে লাশ পৌঁছানোর পর সেগুলো দ্রুত দাফন করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আব্দুর রশীদ জানান, লঞ্চডুবিতে ফরিদপুর সদর উপজেলার ১০ জন এবং বোয়ালমারী উপজেলার তিনজনের লাশ পাওয়া যায়।

দাফনের জন্য নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে তাৎক্ষণিকভাবে ১০ হাজার করে টাকা সহায়তা দেওয়া হয়েছে।

আব্দুর রশীদ আরও জানান, এছাড়া ফরিদপুর বিআরটিএর সহকারী পরিচালক ফজলুর রহমানের লাশ পাটুরিয়া থেকে তার দেশের বাড়ি পাবনা সদর উপজেলার ভারাড়া ইউনিয়নের কোলাদী গ্রামে পাঠানো হয়। সেখানে তাকে দাফন করা হয়।

রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক মোহম্মদ রফিকুল ইসলাম খান জানান, ওই জেলার ১০ জনের লাশ পাওয়া গেছে।

রাজবাড়ী সদর, বালিয়াকান্দি ও গোয়ালন্দ উপজেলার বাসিন্দা ওই ১০ জনের লাশ তাদের স্বজনদের বুঝিয়ে দেওয়ার পর দাফন সম্পন্ন হয়েছে বলে জানান তিনি।

গোপালগঞ্জ জেলার যে তিন জনের লাশ পাওয়া গেছে তারা সবাই কাশিয়ানী উপজেলার বাসিন্দা বলে জানিয়েছেন উপজেলার রামদিয়া পুলিশ ফাঁড়ির এসআই রথীন্দ্র নাথ তরফদার।

তিনি বলেন, নিজ নিজ বাড়িতে নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাদের দাফন করা হয়েছে।