বুধবার ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রুহুল আমীনের আদালতে সাক্ষ্য দেন মামলাটির প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা রমনা থানার ওসি মাহবুবুর রহমান।
তিনি প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা হিসাবে ঘটনাস্থল থেকে দুটি চাপাতি, চশমা, দাঁতের ক্যাপ জব্দ করেছিলেন। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে তাকে জেরা করেন আসামিদের আইনজীবী ফারুক আহম্মেদ।
পরে বিচারক ২৪ ফেব্রুয়ারি জবানবন্দি শোনার পরবর্তী তারিখ দেন।
এ আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বিপুল দেবনাথ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, রাষ্ট্রপক্ষে এ নিয়ে ৫৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ৩৩ জনের সাক্ষ্য নেওয়া শেষ হয়েছে।
তিনি বলেন, “লাগাতার অবরোধ, হরতালে নিরাপত্তার কারণে তিনটি ধার্য তারিখে কারাগার থেকে আসামিদের আদালতে না আনতে পারায় সাক্ষ্য গ্রহণের প্রায় শেষ পর্যায়ে বিচার থেমে গিয়েছিল। কিন্তু একটি গণমাধ্যমে এ বিষয়ে একটি খবর প্রকাশের পর কারা কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ ঝুঁকি নিয়েই আসামিদের আদালতে নিয়ে আসে।”
হামলার জন্য মৌলবাদী গোষ্ঠীকে দায়ী করেছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষক।
এরপর কয়েক মাস চিকিৎসা নেওয়ার পর ২০০৪ সালের অগাস্টে গবেষণার জন্য জার্মানিতে যান এই লেখক। পরে ১২ অগাস্ট মিউনিখে নিজের ফ্ল্যাট থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
পরবর্তীতে তার ভাই মঞ্জুর কবিরের দায়ের করা হত্যা চেষ্টা মামলাটি আদালতের আদেশে অধিকতর তদন্তের পর হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয়।