শপথ নিলেন ১০ বিচারক

শপথ নিলেন সুপ্রিম কোর্টের হাই কোর্ট বিভাগে অতিরিক্ত বিচারক হিসাবে নিয়োগ পাওয়া ১০ বিচারক।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 Feb 2015, 05:43 AM
Updated : 12 Feb 2015, 08:35 AM

বৃহস্পতিবার পুরাতন সড়ক ভবনে অবস্থিত সুপ্রিম কোর্ট মিলনায়তনে প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা তাদের শপথ পড়ান। গত ৯ ফেব্রুয়ারি তাদের নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি হয়।

শপথ নেওয়া নতুন এই বিচারকদের মধ্যে সাবেক জেলা জজ মর্যাদার তিনজন রয়েছেন। এরা হলেন- অবসরপ্রাপ্ত চট্টগ্রামের মহানগর দায়রা জজ এসএম মুজিবুর রহমান, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার মো. ফরিদ আহমেদ শিবলী এবং গাজীপুরের জেলা জজ মো. আমীর হোসেন।

এদের মধ্যে এসএম মুজিবুর রহমান ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলার বিচারক ছিলেন।

ফরিদ আহমেদ শিবলী চলতি মাসে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার পদে আসেন। এর আগে তিনি বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের সচিব হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।

নতুন বিচারকদের মধ্যে অন্যরা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ছিলেন।

এরা হলেন- খিজির আহমেদ চৌধুরী, রাজিক আল জলিল, জ্যোতির্ময় নারায়ণ দেব চৌধুরী, ভীষ্মদেব চক্রবর্তী, মো. ইকবাল কবির লিটন, মো. সেলিম ও মো. সোহরাওয়ার্দী।

এদের মধ্যে রাজিক আল জলিল, ভীষ্মদেব চক্রবর্তী, মো. সেলিম ও মো. সোহরাওয়ার্দী  ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ছিলেন।

এই ১০জনকে নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের হাই কোর্ট বিভাগে বিচারকের সংখ্যা দাড়িয়েছে ৯৭ জনে, যাদের মধ্যে নতুন নিয়োগপ্রাপ্তরা ছাড়াও দুইজন অস্থায়ী বিচারক রয়েছেন।

অন্যদিকে প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগে সাত জন বিচারক আছেন।

আওয়ামী লীগ সরকারের এই মেয়াদে এটিই প্রথম বিচারক নিয়োগ। গত মেয়াদে মোট ৫০জন অতিরিক্ত বিচারক নিয়োগ পেয়েছিলেন। মেয়াদ শেষ না হওয়ায় যাদের দুইজন এখনো অতিরিক্ত বিচারক রয়েছেন, চলতি বছরের অগাস্টে তাদের মেয়াদ দুই বছর হবে।

তবে অতিরিক্ত বিচারকের মেয়াদ পূর্তির পর একজন বাদ পড়েছেন।

বিগত সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে নিয়োগ পাওয়া দুই বিচারককে স্থায়ী করে বর্তমান সরকার।

এছাড়া আওয়ামী লীগ সরকারের ১৯৯৬-২০০১ সাল মেয়াদে অতিরিক্ত বিচারক হিসাবে নিয়োগ পেয়ে পরে বিএনপির আমলে বঞ্চিত ১০ জনকে আপিল বিভাগের রায়ের আলোকে গত মেয়াদে হাই কোর্টে ফিরিয়ে আনা হয়। এর বাইরে বঞ্চিত আরও একজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়।

প্রধান বিচারপতিসহ বর্তমানে আপিল বিভাগে থাকা সব বিচারকই বর্তমান সরকারের আমলে আপিল বিভাগে নিয়োগ পেয়েছেন।