গত এক মাসের অবরোধে গাড়িতে পেট্রোল বোমায় দগ্ধ হয়ে অর্ধশত মানুষের মৃত্যুতে বিএনপি-জামায়াত জোটের কী অর্জন হয়েছে তা নিয়েও প্রশ্ন করেছেন তিনি।
রোববার সচিবালয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয় পরিদর্শনে গিয়ে বিএনপি নেত্রীকে ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ধ্বংস করা, পুড়িয়ে ফেলা, লাশ ফেলা ছাড়া আর কোনো অর্জন তাদের নাই। এটা করে যদি মনে করেন, বিরাট কিছু করে ফেলেছেন- তা হলে জাতির জন্য দুর্ভাগ্যের।
“কারণ, এরা দেশের নেতৃত্ব দেবে। এরা ক্ষমতায় ছিল। আবার ক্ষমতায় যাবার স্বপ্ন দেখে। কিন্তু সে ক্ষমতা মানুষের লাশের ওপর দিয়ে কেন? সেটাই আমার প্রশ্ন।”
ক্ষমতায় যেতে হলে গণতান্ত্রিক উপায়েই যেতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
দশম সংসদ নির্বাচনে না গিয়ে বিএনপি নেত্রী ‘ভুল’ করেছেন মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছে খালেদা জিয়া, নির্বাচনে যায় নাই। এর খেসারত জাতি কেন দেবে?
“মানুষ পুড়িয়ে মেরে সেই লাশের ওপর দিয়ে ক্ষমতায় যাবেন? এটা কোন ধরনের বিবেচনা? কী ধরনের কাজ- আমি জানি না। আল্লাহ তাদের সুমতি দিক।”
খালেদা জিয়ার মানসিক সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে শেখ হাসিনা বলেন, “বিএনপি নেত্রী বোধ হয় উম্মাদ। নইলে বাড়িঘর ছেড়ে অফিসে থেকে কোন বিপ্লব ঘটাচ্ছেন- আমার কাছে বোধগম্য নয়।”
“এতে উনি কী পাবেন আমি জানি না। আল্লাহ এদের সুমতি দিক- মানুষ পুড়িয়ে মারা বন্ধ করুক, ছেলে-মেয়েরা যাতে এসএসসি পরীক্ষা দিতে পারে।”
গত ৫ জানুয়ারি দশম সংসদ নির্বাচনের বর্ষপূর্তিতে পুলিশি বাধায় কর্মসূচি পালনে ব্যর্থ হয়ে সারা দেশে লাগাতার অবরোধের ঘোষণা দেন খালেদা জিয়া।
মাঝে মালয়েশিয়ায় ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যু হলেও কর্মসূচি থেকে সরে আসেননি বিএনপি নেত্রী।
অবরোধের মধ্যেই ফাঁকে ফাঁকে হরতালের ঘোষণা আসছে বিএনপি-জামায়াত জোটের পক্ষ থেকে।
হরতাল-অবরোধে প্রতিদিনই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গাড়িতে অগ্নিসংযোগ, পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ ও বোমাবাজির ঘটনা ঘটছে।
অবরোধকারীদের পেট্রোল বোমায় দগ্ধ হয়ে এরইমধ্যে ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে।