এছাড়া আগুন দেওয়া হয়েছে আরও এক নেতার ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার গুদামে।
বুধবার মধ্যরাত থেকে শুরু হয়ে পরের দুই ঘণ্টার মধ্যের এসব ঘটনা ঘটে। তবে এতে কারও হতাহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
এরমধ্যে একটি বাড়িতে হাতবোমা বিস্ফোরণের শব্দ শুনে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন বলে উপশহর পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই সিরাজ জানিয়েছেন।
তবে বিএনপি নেতাদের বাড়িতে হাতবোমা বিস্ফোরণের ঘটনা জানেন না এবং এ ব্যাপারে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি বলে জানিয়েছেন যশোর পুলিশের এএসপি (সদর) রেশমা শারমিন ও কোতয়ালি থানার ওসি ইনামুল হক।
এ সময় তরিকুল ইসলাম বাড়িতে ছিলেন না বলে জানান তিনি।
এরপর রাত পৌনে ২টার দিকে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাবেরুল হক সাবুর উপশহরের ডি ব্লকের বাসা, শহরের কারবালা এলাকায় জেলার সহসভাপতি গোলাম রেজা দুলু ও সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকনের বাড়িতে হাতবোমা নিক্ষেপ করা হয়।
কাছাকাছি সময় জেলা বিএনপির সহসম্পাদক ও যশোর চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সভাপতি মিজানুর রহমানের বাড়ির পাশে তার অটোরিকশার গুদামে আগুন দেওয়া হয়।
সাবুর স্ত্রী শাহানারা বেগম জানান, বিকট শব্দে হাতবোমা বিস্ফোরণে তাদের উপশহর এলাকার বাড়ির দেয়াল ও জানালা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
উপশহর পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই সিরাজ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ককটেলের শব্দ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দরজা বন্ধ থাকার কারণে ওই বাড়ির মধ্যে ঢুকতে পারিনি।”
বিএনপি নেতা মিজানুর রহমানের অটোরিকশা গুদামে আগুন দেওয়ার বিষয়টি জানিয়েছেন তার ভাই ফজলুর রহমান।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “রাত পৌনে ২টার দিকে এলাকাবাসীর চিৎকারে বাইরে এসে অটোরিকশার গুদামের সামনের অংশে আগুন দেখতে পাই।”
তবে স্থানীয়দের তৎপরতায় আগুন কম সময়ে নিয়ন্ত্রণে আসায় তেমন ক্ষতি হয়নি বলে জানান তিনি।
সম্প্রতি জেলার বিভিন্ন স্থানে গাড়ি পোড়ানো ও বিস্ফোরণের ঘটনায় পুলিশের করা মামলায় জেলা বিএনপির এই পাঁচ নেতাকেই আসামি করা হয়।