বার্গম্যানের সাজায় উদ্বেগ: বিবৃতি জমা দিতে প্রথম আলোকে নির্দেশ

ব্রিটিশ নাগরিক ডেভিড বার্গম্যানের সাজায় উদ্বেগ প্রকাশ করে ৫০ নাগরিকের দেওয়া বিবৃতির পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি জমা দিতে প্রথম আলোর সম্পাদককে নির্দেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Dec 2014, 05:51 PM
Updated : 28 Dec 2014, 05:55 PM

বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ প্রথম আলোতে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন আমলে নিয়ে রোববার স্বপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন।

‘বার্গম্যানের সাজায় ৫০ নাগরিকের ‍উদ্বেগ’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদে উল্লিখিত বিবৃতিটির অনুলিপি রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে জমা দেওয়ার জন্য ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছে আদালত।

ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্র্রার মো. মোস্তাফিজুর রহমান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আদেশের বিষয়ে জানান।

গত ২ ডিসেম্বর আদালত অবমাননার অভিযোগে বার্গম্যানের সাজার আদেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল-২।

এরপর ২০ ডিসেম্বর দৈনিক প্রথম আলো ৫০ নাগরিকের উদ্বেগ নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে। একই আদলে গত ২৩ ডিসেম্বর নিউ ইয়র্ক টাইমসও একটি সম্পাদকীয় প্রকাশ করে।

রেজিস্ট্রার বলেন, “এই সংবাদগুলো ট্রাইব্যুনালের নিকট বাংলাদেশের বিচার বিভাগের প্রতি কটাক্ষ করার শামিল বলে প্রতীয়মান হয়েছে।

“তাই প্রথম আলোকে দেওয়া বিবৃতির পূর্ণাঙ্গ কপি দেখতে চেয়েছে ট্রাইব্যুনাল। ”

একই সঙ্গে আদালত নিউ ইয়র্ক টাইমসের সংবাদটি অনলাইনের মাধ্যমে সংগ্রহ করার চেষ্টা করছে বলেও জানান মোস্তাফিজুর রহমান।

যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালকে বিতর্কিত করতে উদ্দেশ্যমূলক প্রচার চালানোয় আদালত অবমাননার দায়ে ২ ডিসেম্বর সাজা হিসেবে আদালত চলার পুরো সময়ে সাংবাদিক ডেভিড বার্গম্যানকে দাঁড় করিয়ে রাখে ট্রাইব্যুনাল।

সেই সঙ্গে তাকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়, জরিমানার টাকা দিতে ব্যর্থ হলে তাকে সাত দিন কারাগারে থাকার আদেশ দেওয়া হয়।

যুদ্ধাপরাধী আবুল কালাম আযাদের মৃত্যুদণ্ডের রায়কে কেন্দ্র করে নিজের ব্লগে বার্গম্যানের লেখা নিয়ে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনেন হাই কোর্টের আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ।

রায়ে ট্রাইব্যুনাল ঐতিহাসিকভাবে মীমাংসিত বিষয়ে ভবিষ্যতে সমালোচনামূলক লেখা না লিখতে সতর্ক করে দিয়েছে নিউ এইজের সাবেক বিশেষ প্রতিনিধি বার্গম্যানকে, যিনি একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের বিচার দাবির আন্দোলনকারীদের কাছে ব্যাপক সমালোচিত।

ব্লগে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ লেখার মাধ্যমে বার্গম্যান বিচারাধীন বিষয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো এবং ট্রাইব্যুনালকেই ‘বিতর্কিত’ করার চেষ্টা করেছেন বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়।