কায়সারের ফাঁসির রায়ে আনন্দ মিছিল

মানবতাবিরোধী অপরাধে সাবেক প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ মো. কায়সারের ফাঁসির রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন মুক্তিযোদ্ধারা।

হবিগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Dec 2014, 11:02 AM
Updated : 23 Dec 2014, 11:02 AM

এছাড়া জেলায় বিভিন্ন সংগঠন আনন্দ মিছিল করেছে।

বিচারপতি ওবায়দুল হাসান নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ মঙ্গলবার ৭৪ বছর বয়সী এই যুদ্ধাপরাধীর সর্বোচ্চ সাজার রায় ঘোষণা করে।

কায়সারের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের আনা ১৬টি অভিযোগের মধ্যে ১৪টি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে বলে রায়ের সংক্ষিপ্তসারে বলা হয়।

সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সার ওরফে মো. কায়সার ওরফে সৈয়দ কায়সার ওরফে এসএম কায়সার হবিগঞ্জের মাধবপুরের ইটাখোলা গ্রামের সৈয়দ সঈদউদ্দিন ও বেগম হামিদা বানুর ছেলে।

মামলার সাক্ষী ও হবিগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ জেলা ইউনিট কমান্ডার মোহাম্মদ আলী পাঠান বলেন, দীর্ঘ ৪৩ বছর পর সৈয়দ মো. কায়সারের মৃত্যুদণ্ডের রায় শুনে তিনসহ হবিগঞ্জের সকল মুক্তিযোদ্ধা আনন্দিত।

তারা অবিলম্বে ফাঁসির রায় কার্যকর দেখতে চান বলে জানান আলী পাঠান।

হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও হবিগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য মো. আবু জাহির বলেন, এই রায় শুনে আওয়ামী পরিবারের সবাই আনন্দিত। কুখ্যাত রাজাকার সৈয়দ মো. কায়সার অনেক মা বোনের ইজ্জত নষ্ট করেছিল। বহু মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করেছে। সে আওয়ামী লীগকে ধ্বংসেরও ষড়যন্ত্র করেছিল।

মুক্তিযোদ্ধা সংসদ মাধবপুর উপজেলা ইউনিটের ডেপুটি কমান্ডার আব্দুল মালেক মধু বলেন, মাধবপুরবাসী এই রায় শুনে আনন্দিত। কায়সারের নেতৃত্বে কায়সার বাহিনীর হত্যা, লুটতরাজ ও ধর্ষণের প্রকৃত বিচার তারা পেয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, কায়সারের ভয়ে অনেকেই মুখ খুলতে সাহস পেত না। এখনও এলাকায় তাদের দাপট রয়েছে। এই রায়ের ফলে এখন নিরীহ লোকজনের মনে শান্তি আসবে।

জেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সাধারণ সম্পাদক শাহ জয়নাল আবেদীন রাসেল বলেন, নতুন প্রজন্ম এই রায় শুনে আনন্দিত। তারা চান সকল যুদ্ধাপরাধীর যেন বিচার হয়।

আনন্দ মিছিল

কায়সারের মৃত্যুদণ্ডের রায় শোনার সঙ্গে সঙ্গে হবিগঞ্জে আনন্দ মিছিল করেছে বিভিন্ন সংগঠন।

গণজাগরণ মঞ্চের উদ্যোগে একটি মিছিল শহর প্রদক্ষিণ করে।

মিছিলে ছিলেন জেলা যুবলীগ সভাপতি আতাউর রহমান সেলিম, পিযুষ চক্রবর্তী, মাহমুদা খান, অ্যাডভোকেট কামরুল হাসান, আজমান মিয়া, গোলাম সারোয়ার লিটন প্রমুখ।

জেলা ছাত্রলীগ কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে রায় শোনার সঙ্গে সঙ্গে বড় একটি আনন্দ মিছিল বের করে।

মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বেবিস্ট্যান্ড মোড়ে শেষ হয়। এরপর সেখানে পথসভা করেন তারা।

এখানে উপস্থিত ছিলেন জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ইশতিয়াক রাজ চৌধুরী, সাবেক সভাপতি মোতাচ্ছিরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মুকিদুল ইসলাম মুকিদ প্রমুখ।

আনন্দ মিছিল বের করেন মুক্তিযোদ্ধাও। জেলা মুক্তিযোদ্ধা ভবন থেকে তাদের আনন্দ মিছিল বের হয়।

মিছিলে ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ জেলা ইউনিট কমান্ডার মোহাম্মদ আলী পাঠান, সদর উপজেলা কমান্ডার আব্দুস শহিদ, অ্যাডভোকেট সিরাজুল হক চৌধুরী, সৈয়দ জাহেদুল ইসলাম প্রমুখ।

মাধবপুর উপজেলা সদরেও মিছিল বের করে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ মাধবপুর উপজেলা কমান্ড।

পরে একটি পথসভা করেন তারা।