যুদ্ধাপরাধের বিচার সঠিক পথেই: আইনমন্ত্রী

মুক্তিযুদ্ধের সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও হবিগঞ্জে হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণের মতো যুদ্ধাপরাধের দায়ে সাবেক প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারের মৃত্যুদণ্ডের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Dec 2014, 09:30 AM
Updated : 23 Dec 2014, 11:17 AM

মঙ্গলবার রায়ের পর সচিবালয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা পুরো বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে সন্তুষ্ট।বিচার সঠিকভাবেই চলছে।”

একাত্তরে মুসলিম লীগের রাজনীতি করা কায়সারের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের আনা ১৬টি অভিযোগের ১৪টি প্রমাণিত হওয়ায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ তাকে সর্বোচ্চ সাজা দেয়।

আনিসুল হক বলেন, একাত্তরে যুদ্ধাপরাধে জড়িত দলের বিচারের বিষয়ে জানুয়ারিতে মন্ত্রিসভায় একটি সংশোধনী বিল উত্থাপন করা হবে। মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

যুদ্ধাপরাধের বিচারের মধ্যেই গত বছরের ১ অগাস্ট হাই কোর্ট এক রায়ে রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে। এরপরই জামায়াতের যুদ্ধপরাধের তদন্ত শুরু করে ট্রাইব্যুনাল।

ট্রাইব্যুনালের বিভিন্ন রায়ে দল হিসেবে জামায়াতের যুদ্ধাপরাধে সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি উঠে আসে। দলটির সাবেক আমির গোলাম আযমের রায়েও জামায়াতকে একটি ‘ক্রিমিনাল সংগঠন’ উল্লেখ করা হয়।

এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, সরকার চাইলেই জামায়াতকে নিষিদ্ধ করতে পারে। তবে সরকার চায় বিষয়টি আইনি প্রক্রিয়ায় হোক।

“জামায়াতকে ব্যান করা যায় যদি আজকেই আমরা চাই। কিন্তু আমরা বিশ্বাস করি আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ১৯৭১ সালে তারা যেসব অপরাধ করেছিল সংগঠন হিসাবে তার বিচার হবে।”

এ পর্যন্ত ঘোষিত যুদ্ধাপরাধের রায়গুলো কার্যকরে সবার সহযোগিতা চেয়ে মন্ত্রী বলেন, “জনগণের প্রতিনিধি হিসাবে প্রত্যাশা, এই রায় কার্যকর করার ক্ষেত্রে ছোটখাট যেসব প্রতিবন্ধকতা আছে, যে যেখানে আছেন সেখান থেকে আপনারা তা পরিষ্কার করে দেবেন, যেন আমরা রায় কার্যকর করতে পারি।”

দুই বছর আগে যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরুর পর এ পর্যন্ত যে ১৪টি মামলায় রায় হয়েছে তার মধ্যে আপিলের চূড়ান্ত নিষ্পত্তি শেষে কেবল আবদুল কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকর হয়েছে।