আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ মঙ্গলবার এ মামলার রায় ঘোষণার পর কায়সারের আইনজীবী এসএম শাহজাহান বলেন, “যেহেতু রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের সুযোগ রয়েছে, আমরা আপিল করব। আশা করি মহামান্য সুপ্রিম কোর্টে ন্যায় বিচার পাব।”
প্রসিকিউশনের আনা ১৬টি অভিযোগের মধ্যে ১৪টি প্রমাণিত হওয়ায় সাবেক মুসলিম লীগ নেতা সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারকে ট্রাইব্যুনাল মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে, যিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও হবিগঞ্জে হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণের মতো যুদ্ধাপরাধে জড়িত ছিলেন।
তার আইনজীবী শাহজাহান বলেন, “আইনজীবী হিসাবে রায়ের প্রতিক্রিয়া দেখানো যায় না। তবে ট্রাইব্যুনাল যেভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেভাবেই রায় হয়েছে।”
তিনি বলেন, ট্রাইব্যুনালের রায়ের পর তা আপিল বিভাগে যাবে, চূড়ান্ত রায়ের পর তা পুনর্বিবেচনার সুযোগ থাকবে। এরপরই দণ্ড কার্যকরের প্রশ্ন আসে।
দুই বছর আগে যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরুর পর এ পর্যন্ত যে ১৩টি মামলায় রায় হয়েছে তার মধ্যে আপিলের চূড়ান্ত নিষ্পত্তি শেষে কেবল আবদুল কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকর হয়েছে।