বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে হত্যা, গণহত্যা, নির্যাতন, আটক, ধর্ষণ, মুক্তিপণ আদায়, অগ্নিসংযোগ ও ষড়যন্ত্রের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধে ১৬টি ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ সরকারের কৃষি প্রতিমন্ত্রী কায়সারের বিরুদ্ধে।
রায় ঘোষণার জন্য ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের একটি মাইক্রোবাসে করে মঙ্গলবার সকাল পৌনে ৯টার দিকে কায়সারকে ট্রাইব্যুনালে নিয়ে আসা হয়। এরপর তাকে রাখা হয় ট্রাইব্যুনালের হাজতখানায়।
এর ঘণ্টাখানেক পর কায়সারকে নিয়ে আসা হয় আদালত কক্ষে। সাদা পায়জামা ও ধূসর রঙের কোট পরিহিত এই সাবেক এমপি লাঠিতে ভর দিয়ে নিজেই কাঠগড়ায় রাখা চেয়ারে এসে বসেন।
বেলা ১১ টার পর ট্রাইব্যুনালের তিন সদস্য বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, বিচারপতি মুজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি শাহিনুর ইসলাম এজলাসে আসেন।
প্রারম্ভিক বক্তব্যে আইনজীবীসহ সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানিয়ে ৪৮৪ পৃষ্ঠার রায়ের সংক্ষিপ্তসার পড়া শুরু করেন ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। এ সময় সৈয়দ কায়সারের চেহারায় চিন্তার ছাপ দেখা যায়।
কায়সারের ছেলে সৈয়দ গালিব আহমেদও আদালতে উপস্থিত আছেন, যিনি বিতর্কিত প্রতিষ্ঠান গ্যাটকোর এমডি। এছাড়া রয়েছেন কায়সারের দুই ভাই এসএবিএম হুমায়ুন ও এসএকেএম সেলিম।
১৬ ঘটনায় অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে চলতি বছর ২ ফেব্রুয়ারি ট্রাইব্যুনালে সৈয়দ কায়সারের বিচার শুরু হয়। সাক্ষ্য ও জেরা শেষে গত ২০ অগাস্ট মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখেন বিচারক। মামলার কার্যক্রম চলাকালে জামিনে থাকলেও ওইদিন কায়সারকে কারাগারে পাঠায় ট্রাইব্যুনাল।
রায়কে কেন্দ্র করে যে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়াতে সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
সকালে হাই কোর্টসংলগ্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় ট্রাইব্যুনালের বিভিন্ন প্রবেশপথে রয়েছে পুলিশ ও র্যা বের অবস্থান। হাই কোর্ট এলাকায় প্রবেশকারীদের পরিচয়পত্র পরীক্ষা করে ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে। গণমাধ্যম কর্মীদেরও নিরাপত্তা তল্লাশির পর ট্রাইব্যুনালে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে।