গয়নার দোকানে ডাকাতি: দুই মামলায় আসামি ১১

চট্টগ্রামে বোমা ও গুলি ছুড়ে দুটি গয়নার দোকানে ডাকাতির ঘটনায় ১১ জনকে আসামি করে দুটি মামলা হয়েছে।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 Dec 2014, 06:23 AM
Updated : 14 Dec 2014, 07:10 AM

কোতোয়ালি থানার ওসি মহিউদ্দিন সেলিম জানান, ‘গিনি গোল্ড ফ্যাশন জুয়েলার্সের’ মালিক রূপন কান্তি ধর শনিবার গভীর রাতে দশ জনকে আসামি করে নগরীর কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করেন।

আর পুলিশের এসআই একে ফজলুল হক অন্য মামলাটি দায়ের করেন নগরীর পাহাড়তলী থানায়, যাতে আসামি করা হয়েছে দুইজনকে। 

শনিবার রাত সোয়া ৮টার দিকে বন্দরনগরীর জিপিওর সামনে অপরূপা জুয়েলার্স ও গিনি গোল্ড জুয়েলার্স নামে দুটি গয়নার দোকানে গুলি ছুড়ে ও বোমা ফাটিয়ে ডাকাতির চেষ্টা হয়।

গুলি ও বোমা বিস্ফোরণে আহত হন অন্তত ১৩ জন, যাদের মধ্যে দুইজনকে ডাকাত দলের সদস্য হিসাবে চিহ্নিত করেছে পুলিশ।

আহতদের মধ্যে মো. সৈয়দ (৩১) নামে একজন রাত ১২টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

ওই ঘটনার পর রাত পৌনে ১০টার দিকে সদরঘাট থানার পূর্ব মাদারবাড়ি নেওয়াজ হোটেল মোড় থেকে ডাকাতদের ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাস উদ্ধার করে পুলিশ।

একই সময়ে পাহাড়তলী থানাধীন সাগরিকা মোড় চেকপোস্ট থেকে গুলি ও রিভলবারসহ ইমতিয়াজ উদ্দিন বাবলু নামে একজনকে আটক করা হয়। পরে তার দেওয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী চট্টগ্রাম মেডিকেল থেকে গ্রেপ্তার করা হয় কালাম ও মনির নামে আরো দুজনকে।

কোতোয়ালির ওসি মহিউদ্দিন সেলিম বলেন, গিনি জুয়েলার্সের মালিকের মামলায় বাবলু, কালাম ও মনিরকেও আসামি করা হয়েছে।

“ঘটনার পর কিছু খোয়া যায়নি বলে দোকান দুটির মালিক দাবি করলেও মামলায় গিনি গোল্ড জুয়েলার্স থেকে ১০ ভরি স্বর্ণালংকার লুটের কথা বলা হয়েছে।”

এ মামলার বাকি আসামিরা হলেন- মো. শাহজাহান, ফোরকান হাওলাদার, জাকির হোসেন লিটন, মো. সোহাগ, মো. হাসান, মো. মাসুদ ও কানা।

ওসি জানান, কালাম ঘটনার সময় বোমার ব্যাগ বহন করছিলেন। একটি বোমা ফাটানোর পর তার হাতের বোমার ব্যাগটিও বিস্ফোরিত হয়। এতে কালামও আহত হন।

পুলিশের পক্ষ থেকে পাহাড়তলী থানায় অস্ত্র আইনে যে মামলা হয়েছে তাতেও বাবলু আসামি।

পাহাড়তলী থানার এএসআই সনজয় জানান, গ্রেপ্তারের সময় বাবলুর সঙ্গে আরেকজন ছিল। কিন্তু পুলিশ চেকপোস্টে রিকশা থামানোর সংকেত দেওয়া হলে অন্যজন পালিয়ে যায়।

পাহাড়তলী থানার ওসি আজিজুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ওই দুই জনকেই মামলায় আসামি করা হয়েছে। তবে পালিয়ে যাওয়ায় দ্বিতীয়জনের নাম এজাহারে উল্লেখ করা হয়নি।”