আইএফআইসি সাহিত্য পুরস্কার পেলেন পাঁচজন

বাংলা সাহিত্যে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে পাঁচ লেখককে ২০১২ ও ২০১৩ সালের ‘আইএফআইসি ব্যাংক সাহিত্য পুরস্কার’ দেওয়া হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 Dec 2014, 07:26 PM
Updated : 7 Dec 2014, 07:26 PM

রোববার রাজধানীর রেডিসন হোটেলে নির্বাচিতদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরী। পুরস্কার হিসেবে নগদ টাকার চেক, ক্রেস্ট ও সনদ দেওয়া হয়েছে।

২০১২ সালে ‘উয়ারী-বটেশ্বর: শেকড়ের সন্ধানে’ বইয়ের জন্য যৌথভাবে পুরস্কার পান লেখক সুফি মোস্তাফিজুর রহমান ও মুহাম্মদ হাবিবুল্লা পাঠান। আর ‘বাংলার বৌদ্ধ: ইতিহাস ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি’ বইয়ের জন্য পুরস্কৃত হন শিমুল বড়ুয়া।

২০১৩ সালে ‘মুক্তিযুদ্ধে মেজর হায়দার ও তাঁর বিয়োগান্ত বিদায়’ বইয়ের জন্য জহিরুল ইসলামকে পুরস্কার দেওয়া হয়। ‘মধুসূদন: বিচিত্র অনুষঙ্গ’ বইয়ের জন্য পুরস্কৃত করা হয় বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের নানা পুরস্কারে ভূষিত খসরু পারভেজকে।

বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের সমসাময়িক জীবিত লেখকদের সৃজনপ্রতিভার স্বীকৃতি হিসাবে ২০১১ সালে আইএফআইসি ব্যাংক সাহিত্য পুরস্কার চালু করা হয়। প্রতি বছর দুটি নির্বাচিত বইয়ের লেখককে পুরস্কার হিসাবে  পাঁচ লাখ টাকা দেওয়া হয়।

প্রথম বছর ‘জলেশ্বরীর দিনপত্রী’বইয়ের জন্য সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক এবং অনূদিত ‘অনন্য জীবনানন্দ’ বইয়ের জন্য ফারুক  মঈনউদ্দীন পুরস্কারে ভূষিত হন।

পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান উপলক্ষে রেডিসন হোটেলের ব্লু ওয়াটার গার্ডেন সাজানো হয় জসীম উদদীনের কবিতার মূল উপজীব্য বাংলার চিরসবুজ পল্লীর আবহে। পরিপাটি কুঁড়ে ঘর, সারি সারি গাছ রেখে আনা হয় গ্রামীণ চিত্র।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ছাড়াও আইএফআইসি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান, বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদসহ অন্যরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

শিরীন শারমিন বলেন, “এ ধরনের পুরস্কার লেখক-সাহিত্যিকদের আরো গভীরভাবে চিন্তা করতে উদ্বুদ্ধ করবে।”

অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ বলেন, “মানব সভ্যতার যা কিছু শ্রেষ্ঠ জিনিস তা থেকে পৃথিবী দিন দিন সরে আসছে। পৃথিবীতে গড়ে উঠেছে একটা নির্মম বাণিজ্যিক পরিবেশ।

“তবে সম্পদশালীদের এ ধরনের সহযোগিতা সৃজনশীল চিন্তা ও কাজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সহায়তা করবে।”