প্রতিবেদন প্রকাশ করে বুধবার ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের সংবাদ সম্মেলনের পর দুদক কমিশনার এম সাহাবুদ্দিন চুপ্পু বলেন, “এই পরিসংখ্যান বাংলাদেশের প্রকৃত চিত্র থেকে ভিন্ন। আমরা এই প্রতিবেদনের সঙ্গে একমত নই।”
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালে ‘দুর্নীতির ধারণা সূচক ২০১৪’ এ দেখা যায়, ২৫ স্কোর নিয়ে বাংলাদেশ ১৭৫টি দেশের মধ্যে ১৪৫তম স্থানে রয়েছে। সর্বাধিক ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ দেশটিকে প্রথম ধরলে বাংলাদেশ দুই ধাপ নেমে চতুর্দশ স্থানে এসেছে।
এর প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে সাহাবুদ্দিন তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, “বাস্তবতার নিরিখেই এই প্রতিবেদনটি গ্রহণযোগ্য নয়।
“যদিও তাদের পুর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন এখনও হাতে পাইনি, কিন্তু গণমাধ্যম থেকে যা জানতে পেরেছি, প্রতিবেদন পেলেও তা গ্রহণযোগ্য হবে বলে মনে করি না।”
সংবাদ সম্মেলনে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বাংলাদেশে দুর্নীতির ব্যাপকতা ও গভীরতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সরকারকে আরও কঠোর হওয়ার আহ্বান জানান।
তবে তার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে সাহাবুদ্দিন বলেন, “আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় দুদক এখন অনেক সক্রিয়। তাই দুর্নীতির পরিমাণও কমে আসছে।”