রোববার রাতে এক শোকবার্তায় তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সাবেক অধ্যাপক কাইয়ুম চৌধুরী ছিলেন প্রগতিশীল, মুক্তবুদ্ধি ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার এক আলোকদীপ্ত মানুষ।
“চারুকলা ইন্সটিউটের শিক্ষা ব্যবস্থাপনা এবং চারুকলা ইন্সটিউটকে অনুষদে রূপান্তরের প্রক্রিয়ায় তার চিন্তা ও অবদান নিঃসন্দেহে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তার মৃত্যুতে জাতির এক অপূরণীয় ক্ষতি হল।”
উপাচার্য প্রয়াত শিল্পীর আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং তার পরিবারের শোক-সন্তপ্ত সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন।
রোববার রাতে রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের উৎসবে ব্ক্তৃতা করার পর হঠাৎ পড়ে যান কাইয়ুম চৌধুরী। ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
একুশে পদক ও স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত কাইয়ুম চৌধুরীর বয়স হয়েছিল ৮২ বছর।
১৯৩২ সালের ৯ মার্চ ফেনীতে জন্ম নেওয়া কাইয়ুম চৌধুরী ১৯৫৪ সালে ঢাকা আর্ট কলেজ থেকে ফাইন আর্টসে ডিগ্রি নেন। আর্ট কলেজে শিক্ষকতায় যোগ দেন ১৯৫৭ সালে। চারুকলা ইনস্টিটিউট হওয়ার পর এর অধ্যাপক হিসেবে ১৯৯৪ সালে অবসর নেন তিনি।