একুশে ও স্বাধীনতা পদকজয়ী এই চিত্রশিল্পী রোববার রাতে বেঙ্গল সঙ্গীত উৎসবে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
গুণী এই শিল্পীর মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি গভীর শোক জানিয়েছেন বলে তার প্রেসসচিব ইহসানুল করিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।
শোকবার্তায় রাষ্ট্রপতি বলেছেন, “চিত্রশিল্প জগতে তার অবদান জাতি চিরদিন স্মরণ রাখবে। তার মৃত্যুতে দেশ একজন বরেণ্য শিল্পীকে হারাল। দেশের শিল্পাঙ্গনে যে ক্ষতি হল, তা অপূরণীয়।”
প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব এ কে এম শামীম চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বরেণ্য চিত্রশিল্পী কাইয়ুম চৌধুরীর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী গভীর শোক জানানোর পাশাপাশি শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।
শোকবার্তা উদ্ধৃত করে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী মাহবুবুল হক শাকিল বলেন, “চিত্রশিল্পের এ উজ্জ্বল নক্ষত্র তার সৃষ্টির মাধ্যমে মানুষের সুখ-দুঃখ ও জীবনাচারণ তুলে ধরেছেন। প্রগতিশীল সমাজ বিনির্মাণে অবদান রেখেছেন। তার মৃত্যুতে দেশের চিত্রকলা ও সংস্কৃতি জগতে যে শূন্যতা সৃষ্টি হল, তা সহজে পূরণ হওয়ার নয়।”
“এদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন ও প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরীর ভূমিকা জাতি গভীর কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করবে,” বলেন প্রধানমন্ত্রী।
চিত্রশিল্পী কাইয়ুম চৌধুরীর মৃত্যুতে শোক জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, বাংলাদেশের শিল্পাঙ্গনে বিরাট শূন্যতা সৃষ্টি হল।
“প্রথিতযশা চিত্রশিল্পী কাইয়ুম চৌধুরীর তিরোধানে শিল্পাঙ্গনে বিরাট শূন্যতা সৃষ্টি হল। তিনি মাটি ও মানুষের জীবন ও সংস্কৃতিকে রঙ ও রেখায় উজ্জ্বল করে রেখেছেন।”
আধুনিক চিত্রকলায় কাইয়ুম চৌধুরীর অবদান তুলে ধরে তিনি বলেন, “এদেশের প্রচ্ছদ শিল্পে নানা বৈচিত্র্য সংযোজন করে একটি মাত্রা দিয়েছিলেন কাইয়ুম চৌধুরী।”
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও গভর্নর আতিউর রহমান শিল্পী আতিউর রহমানের মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নোট ডিজাইন এবং ম্যুরাল কমিটির সদস্য ছিলেন কাইয়ুম চৌধুরী। বাংলাদেশে প্রচলিত কয়েকটি টাকার নোটের ডিজাইন তারই করা।
৮২ বছর বয়সী কাইয়ুম চৌধুরী রোববার রাতে বেঙ্গল সঙ্গীত উৎসবে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে গেলে তাকে সিএমএইচে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।