Published : 25 Nov 2014, 12:19 PM
মঙ্গলবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আইনি জটিলতা কেটে যাচ্ছে। যে কোনো সময় তিনি গ্রেপ্তার হতে পরেন। গ্রেপ্তারের বিষয়ে নির্দেশনা পাওয়া গেছে।”
প্রায় দুই মাস আগে নিউ ইয়র্কে এক অনুষ্ঠানে হজ নিয়ে মন্তব্যের জন্য মন্ত্রিত্ব ও আওয়ামী লীগের সদস্যপদ হারান আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী। রোববার রাতে তিনি দেশে ফেরেন।
মন্ত্রিত্ব হারালেও লতিফ সিদ্দিকী এখনো সংসদ সদস্য রয়েছেন।
তার দেশে আসার খবরে সোমবার রাজপথে বিক্ষোভ দেখায় কয়েকটি ইসলামী সংগঠন। ইসলামী ঐক্যজোট ও হোফাজতে ইসলাম নামে দুটি সংগঠন ইতোমধ্যে লতিফ সিদ্দিকীর গ্রেপ্তারের দাবিতে বুধবার পর্যন্ত সময় বেধে দিয়ে বৃহস্পতিবার হরতালের ঘোষণা দিয়েছে।
এছাড়া মঙ্গলবার সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করছে নবগঠিত রাজনৈতিক জোট এনডিএফ, যদিও জোটের কোনো নেতাকর্মীকে রাস্তায় দেখা যায়নি, স্বাভাবিক রয়েছে যান চলাচল।
গ্রেপ্তার পরোয়ানা নিয়ে রোববার দেশে ফিরলেও লতিফ সিদ্দিকী কোথায় আছেন তা এখনো জানা যায়নি।
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর কাছে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, “এ বিষয়ে পরে জানাব।”
গত ২৮ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্কে এক অনুষ্ঠানে তৎকালীন টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকী বলেছিলেন, “আমি কিন্তু হজ আর তাবলিগ জামাতের ঘোরতর বিরোধী। আমি জামায়াতে ইসলামীর যতটা বিরোধী, তার চেয়ে বেশি হজ আর তাবলিগের বিরোধী। ”
এর ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, বিপুল সংখ্যক মানুষ হজে যাওয়ায় দেশের অর্থ আর শ্রম শক্তির ‘অপচয়’ হয়।
দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যের এই বক্তব্য প্রচার হলে সমালোচনার মধ্যে পড়ে আওয়ামী লীগও। এরপর মন্ত্রিসভা থেকে বাদ দেওয়ার পাশাপাশি আওয়ামী লীগ বহিষ্কারও করে তাকে।