জামায়াতের অন্যতম প্রধান অর্থ যোগানদাতা হিসেবে পরিচিত মীর কাসেমের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, অপহরণ, নির্যাতনের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের ১৪টি ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ ছিল।
এর মধ্যে দুটি অভিযোগে কিশোর মুক্তিযোদ্ধা জসিমসহ আটজনকে হত্যার দায়ে আসামি কাসেমকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল।
সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত আটটি অভিযোগে অপহরণ ও আটকে রেখে নির্যাতনের দায়ের মীর কাসেমকে সব মিলিয়ে ৭২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান এবং অপর দুই সদস্য বিচারপতি মুজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি শাহিনুর ইসলাম রায় ঘোষণার জন্য রোববার সকাল ১০টা ৫৫ মিনিটে এজলাসে আসেন। তার কিছুক্ষণ আগে আসামি মীর কাসেমকে ট্রাইব্যুনালের হাজতখানা থেকে কাঠগড়ায় নিয়ে আসা হয়।
বিচারপতি ওবায়দুল হাসান রায় পড়া শুরুর আগে জনাকীর্ণ আদালতে প্রাথমিক বক্তব্য দেন। এরপর তিনিই ১১ পৃষ্ঠার সংক্ষিপ্তসার পড়ে সাজা ঘোষণা করেন।
সকাল ৯টা ১৭ মিনিটে আসামি মীর কাসেমকে পুলিশের একটি প্রিজন ভ্যানে করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে নিয়ে আসা হয়। আদালত কক্ষে নেওয়ার আগে তাকে রাখা হয় ট্রাইব্যুনালের হাজতখানায়।
এই রায়কে কেন্দ্র করে যে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়াতে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। ট্রাইব্যুনালের বিভিন্ন প্রবেশপথে রয়েছে পুলিশ ও র্যাব। গণমাধ্যম কর্মীদেরও ট্রাইব্যুনালে ঢুকতে দেওয়া হয় নিরাপত্তা তল্লাশির পর।