যুদ্ধাপরাধের দায়ে দলের আমির মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসির রায়ের প্রতিবাদে বৃহস্পতি, রবি ও সোমবার হরতাল ডেকেছে জামায়াতে ইসলামী।
Published : 29 Oct 2014, 12:24 PM
বুধবার রায়ের পর ভারপ্রাপ্ত আমির মকবুল আহমাদ ও ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান এক বিবৃতিতে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
তিন দিন হরতালের মধ্যে প্রথম দফায় বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টা হরতাল হবে।
এছাড়া দ্বিতীয় দফায় রোববার সকাল ৬টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত টানা ৪৮ ঘণ্টা হরতাল করার ঘোষণা দিয়েছে দলটি।
জামায়াতের এই হরতাল ঘোষণার একদিন আগেই রায়ের পরদিন বৃহস্পতিবার নাটোরে খালেদা জিয়ার জনসভা পিছিয়ে দেয় বিএনপি। পরিবর্তিত সূচি অনুযায়ী শনিবার ওই জনসভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
জামায়াতের অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে শুক্রবার নিজামীর মুক্তি দাবিতে দোয়া অনুষ্ঠান ও শনিবার বিক্ষোভ কর্মসূচি।
বিবৃতিতে জামায়াত বলছে, সরকার অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে দেশকে ভয়াবহ সংঘাতের দিকে ঠেলে দিতে চায়।
দলকে নেতৃত্বশূন্য করার জন্য মতিউর রহমান নিজামীসহ শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও অভিযোগ দলটির।
“সরকার অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীকে হত্যার উদ্দেশ্যে মিথ্যা, কাল্পনিক ও বায়বীয় অভিযোগে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দায়ের করে। নিজেদের দলীয় লোকদের দ্বারা মিথ্যা সাক্ষ্য প্রদান করে তাকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করার ব্যবস্থা করে।”
মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর প্রধান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম বুধবার জামায়াত আমিরের যুদ্ধাপরাধের মামলার রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে হত্যা, লুট, ধর্ষণ, উসকানি ও সহায়তা, পরিকল্পনা ও ষড়যন্ত্র এবং বুদ্ধিজীবী হত্যার ১৬টি ঘটনার মধ্যে চারটিতে নিজামীকে সর্বোচ্চ সাজা ফাঁসির দণ্ড দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল। এছাড়া চারটিতে দেওয়া হয়েছে যাবজ্জীবন।
জামায়াতের বিবৃতিতে বলা হয়, “রায় ঘোষণার পর মাননীয় আইনমন্ত্রী ‘নিজামীর মৃত্যুদণ্ডের রায় আপিল আদালতে বহাল রাখার উদ্যোগ নিয়ে দ্রুত তা কার্যকর করা হবে’ বলে বক্তব্য রেখেছেন।
“আইনমন্ত্রীর এই বক্তব্য আদালতকে ডিক্টেট করার শামিল। নিম্ন আদালতের কোনও রায় আপিল বিভাগে বহাল থাকবে, কি থাকবে না, তা বলার এখতিয়ার আইনমন্ত্রীর নেই। আইনমন্ত্রী আপিল আদালতে মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল রাখার ঘোষণা দিয়ে আরেকবার প্রমাণ করলেন, গোটা বিচার প্রক্রিয়া সরকারের নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত হচ্ছে।”