এক্ষেত্রে চার বছর আগে প্রথম জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের অগ্রাধিকার দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন এ বিভাগের কর্মকর্তারা।
দেশের সব নাগরিককে জাতীয় পরিচয়পত্র দিতে জাতীয় সংসদে আইন পাসের এক বছরের মাথায় জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদানকারী সংস্থার এ উদ্যোগ।
বর্তমানে ১৮ বছর ও তার বেশি বয়সী নাগরিকদের ভোটার করতে তথ্য সংগ্রহ করে ইসি। আইন অনুযায়ী প্রতিবছর জানুয়ারিতে ছবিসহ ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ শুরু হয়।
গত বছর ৬ অক্টোবর দেশের সব নাগরিককে জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার বিধান রেখে বিল পাস করে সংসদ। এর ফলে ভোটার না হলেও ১৮ বছরের কম বয়সীদের জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়ার পথ তৈরি হয়।
সম্প্রতি জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগকে ১৮ বছরের কম বয়সীদের পরিচয়পত্র দেওয়ার বিষয়ে কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপনে নির্দেশ দেয় ইসি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সুলতানুজ্জামান মো. সালেহ উদ্দীন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা দুটো প্রপোজাল চিন্তা করছি- একটা হচ্ছে ১৫ বছরের ঊর্ধ্বে যারা তাদের তথ্য সংগ্রহ করা; আরেকটা হচ্ছে অষ্টম শ্রেণির জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের তথ্য সংগ্রহ করা।”
পাশাপাশি যারা পঞ্চম শ্রেণীর প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় (পিএসসি) অংশগ্রহণ করেছে- সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে তাদের তথ্যও কাজে লাগানোর কথা ভাবছেন কর্মকর্তারা।
২০১০ সাল থেকে জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা চালু হয়। প্রতিবছর ৩ লাখের বেশি শিক্ষার্থী এ পরীক্ষায় অংশ নেয়, পরীক্ষা দেওয়ার সময় যাদের গড় বয়স থাকে ১১-১২ বছর। বর্তমানে তাদের বয়স ১৫ বছরের বেশি।
আর প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা প্রথমবার চালু হয় ২০০৯ সালে।
জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক জানান, প্রথমবারের মতো ১৮ বছরের কম বয়সীদের তথ্য সংগ্রহের পদ্ধতি নিয়ে সমাজের অংশীজনের মতামত নেবেন তারা।
“স্টেকহোল্ডারদের মতামত নেব। আমাদের পরিকল্পনা ইন্টারনেটে দেব- তখন সব স্তরের মানুষ এ নিয়ে মতামত দেবে। হালনাগাদের সঙ্গে করা হবে নাকি আলাদাভাবে একটা প্ল্যান দেব- তা তখনই চূড়ান্ত হবে।”
জাতীয় পরিচয়পত্রধারী কিশোর-কিশোরীদের বয়স ১৮ বছর হলে তারা স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভোটার তালিকাভুক্ত হয়ে যাবে।