শহীদ মিনারে প্রতিবাদী সমাবেশ

‘শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য’ পিয়াস করিমের মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেয়ার উদ্যোগের প্রতিবাদে সমাবেশ করছে কয়েকটি সংগঠন, যদিও সেখানে মরদেহ নেয়ার পরিকল্পনা থেকে সরে আসার কথা আগেই জানিয়েছে প্রয়াতের পরিবার।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Oct 2014, 06:56 AM
Updated : 17 Oct 2014, 10:49 AM

গণজাগরণ মঞ্চের একাংশ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড, প্রাণের ৭১, স্লোগান ৭১, বঙ্গবন্ধু সৈনিক প্লাটুন, মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম ও সিপি গ্যাংসহ কয়েকটি সংগঠনের নেতাকর্মীরা শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে শহীদ মিনারে অবস্থান নেন।

মানববন্ধন, সমাবেশ ও প্রতিবাদী গানের মধ্য দিয়ে চলছে তাদের কর্মসূচি।

‘রাজাকার ও তাদের দোসরদের কোনো ধরনের সম্মান প্রদর্শন চলবে না’ বলে সমাবেশে বলেন বক্তারা। পিয়াস করিমের লাশ শহীদ মিনারে নেয়ার উদ্যোগের প্রতিবাদ জানান তারা।

এছাড়া অধ্যাপক আসিফ নজরুল, আমেনা মহসিন, দিলারা চৌধুরী, ফরহাদ মজহার, মাহফুজ উল্লাহ, তুহিন মালিক, গোলাম মোর্তজা, নুরুল কবীর, মতিউর রহমান চৌধুরীকেও ‘স্বাধীনতাবিরোধীদের সহযোগী’ হিসেবে আখ্যায়তি করে তাদের প্রতিহতের ডাক দিয়ে শহীদ মিনার এলাকায় ব্যানার টাঙানো হয়।

সকাল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা তাদের সমাবেশে গিয়ে সংহতি জানান।

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক পিয়াস করিম সোমবার মারা যান, যিনি টেলিভিশন অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবেই বেশি পরিচিত ছিলেন। গণজাগরণ আন্দোলন এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তার বক্তব্য বিতর্কের জন্ম দেয়।

এ কারণে পরিবারের পক্ষ থেকে পিয়াস করিমের লাশ শহীদ মিনারে রাখার কথা বলা হলে সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটগুলোতে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে; বিভিন্ন ছাত্র ও সাংস্কৃতিক সংগঠন তা প্রতিরোধের ঘোষণা দেয়।

বিভিন্ন সংগঠনের বিরোধিতার মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি না মেলার পর শহীদ মিনারে পিয়াস করিমের মরদেহ নেয়ার পরিকল্পনা থেকে সরে আসে তার পরিবার।

শুক্রবার সকালে স্কয়ার হাসপাতালের হিমঘর থেকে তার মরদেহ ধানমণ্ডির বাসায় নেয়া হয়। সেখানে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।