এছাড়া কল্যাণ পার্টির আর্থিক প্রতিবেদন যথাযথ না হওয়ায় পূর্ণাঙ্গভাবে দেওয়ার তাগিদ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার ইসির সহকারি সচিব রৌশন আরা বেগম স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত চিঠি সংশ্লিষ্ট দলের মহাসচিবদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
সম্প্রতি কমিশন সভায় এই তিনটি দলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয় উল্লেখ করে কমিশনের উপসচিব আব্দুল অদুদ জানান, টানা তিন বছর অডিট রিপোর্ট দিতে ব্যর্থ হলে নিবন্ধন বিধিমালা অনুযায়ী সেই দলের নিবন্ধন বাতিলের বিধান রয়েছে।
“গণফ্রন্ট ২০১২ সালে কোনো প্রতিবেদন দেয়নি। ২০১৩ সালের প্রতিবেদনও নির্ধারিত সময়ের (৩১ জুলাইয়ের মধ্যে) দিতে ব্যর্থ হয়েছে। সময় বাড়ানোর আবেদন না জাননানোয় পরে তারা প্রতিবেদন দিলেও তা গৃহীত হয়নি।
“সাম্যবাদী দল গত ১ সেপ্টেম্বর দলের আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দেওয়ায় তা গ্রহণ করেনি ইসি।”
এ দুটি দলকে নিবন্ধন বাতিলের (আরপিও ৯০ এইচ) বিধান জানিয়ে সতর্ক করে চিঠি দেওয়া হয় বলে জানান ইসির এ কর্মকর্তা।
বিধি অনুযায়ী প্রতিবেদন গৃহীত না হওয়ায় দলটিকে প্রতিবেদন পূর্ণাঙ্গ করে তা দেওয়ার জন্য তাগিদ দেওয়া হয়েছে বলে জানান কমিশনের উপসচিব।
২০০৮ সাল থেকে নিবন্ধন প্রথা চালুর পর গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ মেনে প্রতিবছর আর্থিক লেনদেনের হিসাব দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর। বর্তমানে দেশে ৪০টি নিবন্ধিত দল রয়েছে।
আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ বেশ কয়েকটি দলের আবেদনের প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন এবছর ৩১ অগাস্ট পর্যন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময় বাড়ায়।