লোডশেডিং: সাভারে বিদ্যুৎ অফিস ঘেরাও

সাভারে লোডশেডিংয়ের কারণে বিক্ষোভ-মিছিল ও পল্লী বিদ্যুৎ অফিস ঘেরাও করেছে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।

সাভার প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 Sept 2014, 11:35 AM
Updated : 30 Sept 2014, 11:35 AM

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, দিনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ২০ ঘণ্টাই বিদ্যুতবিহীন থাকতে হচ্ছে তাদের।

সাভার মডেল থানার এএসপি শফিকুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার দুপুরের দিকে বিদ্যুতের দাবিতে সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ডে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে বিক্ষোভ মিছিল শেষে পল্লী বিদ্যুতের শিমুলতলা অফিস ঘেরাও করে স্থানীয়রা। পরে বিদ্যুতের আশ্বাস পেয়ে তারা ফিরে যায়।  

তবে, সমস্যা সমাধানে পল্লী বিদ্যুতের কিছু করার নেই বলে জানিয়েছেন  ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৩ এর উপ-মহাব্যবস্থাপক আক্তারুজ্জামান লস্কর।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “লোডশেডিং হলে আমাদের করার কিছু নেই। সরকার গ্যাস দিয়ে সার উৎপাদন করছে, ফলে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে গেছে, যার কারণে ঘন ঘন লোডশেডিং হচ্ছে।”

তিনি আরো বলেন, সাভারে ৯০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রয়োজন হয়। কিন্তু সেখানে আমরা পাচ্ছি ২৭/৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।

অক্টোবরের দিকে সমস্যা সামাধান হতে পারে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

বিক্ষোভ মিছিলে নেতৃত্ব দেয়া মো. আরিফ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, বিদ্যুৎ না থাকায় আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ হওয়ার উপক্রম। সামনে ঈদ ও দুর্গা পূজায় বেচাবিক্রিও কমে গেছে।

“বিদ্যুৎ না থাকায় ক্রেতারা মার্কেটে আসছে না। ফলে আয় রোজগার না থাকায় অনাহারে থাকার মতো অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে বাধ্য হয়ে আমরা আন্দোলনে নেমেছি।”

কারখানা মালিকরা জানিয়েছেন, কারখানাগুলোতে উৎপাদন কমে গেছে এবং জেনারেটরের মাধ্যমে মিল-কারখানা সচল রাখতে গিয়ে খরচও অনেক বেড়ে গেছে। এজন্য তাদের অনেক লোকশান হচ্ছে।

লোডশেডিংয়ের কারণে সম্প্রতি সাভারে বিভিন্ন স্থানে রাতে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধও বেড়ে গেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।

পুলিশের প্রতিশ্রুতির পরও এভাবে চলতে থাকলে আরও কঠোর আন্দোলন হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।