ষোড়শ সংশোধন বিল পাস ২১০ মিনিটে

বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে ফিরিয়ে দিয়ে বুধবার সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বিল পাসের পুরো প্রক্রিয়া সারতে লেগেছে ২১০ মিনিট।

মঈনুল হক চৌধুরীসুমন মাহবুব, , শহীদুল ইসলাম ও সাজিদুল হকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Sept 2014, 06:40 PM
Updated : 22 Sept 2014, 11:23 AM

এবার ৩৫০ জন সংসদ সদস্যের মধ্যে উপস্থিত ৩২৭ জনের ভোটে সর্বসম্মতভাবে পাস হয় বিলটি।

সংবিধানে সর্বশেষ পঞ্চদশ সংশোধন বিলটি পাসের সময় ২০১১ সালের ৩০ জুন পুরো প্রক্রিয়া শেষ করতে প্রায় ৩ ঘণ্টা সময় লেগেছিল।

সংবিধানের ষোড়শ সংশোধন বিল পাসের দিন বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় অধিবেশন শুরু হয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্ব চলে ৭টা ৩৮ মিনিট পর্যন্ত।

স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশন শুরু থেকে অধিবেশন কক্ষে উপস্থিত ছিলেন সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অধিবেশন শুরুর পরপরই বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ ঢোকেন।

৭টা ১২ মিনিটের দিকে অধিবেশনে ঢোকেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত আসেন ঠিক সাড়ে ৭টায়।

প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর পর্ব শেষ হতে হতে অধিবেশন কক্ষ ভরে ওঠে। তবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এবং জেপির আনোয়ার হোসেন মঞ্জু অধিবেশনের শুরুতে অনুপস্থিত ছিলেন।

দশম সংসদে সংরক্ষিত আসনের মহিলা সদস্যদের নিয়ে সংসদ সদস্য রয়েছেন আওয়ামী লীগ ২৭৬, ওয়ার্কার্স পার্টি ৭, জাসদ ৬, তরীকত ফেডারেশন ২, জাতীয় পার্টি ৪০, জেপি ২, বিএনএফ ১ ও স্বতন্ত্র ১৬ জন।

৭টা ৩৯ মিনিটে মন্ত্রীদের জন্য প্রশ্নোত্তর পর্ব টেবিলে উপস্থাপিত হয়। এরপর জরুরি জনগুরুত্বসম্পন্ন মনোযোগ আকর্ষণের নোটিসের ওপর আলোচনা স্থগিত করেন স্পিকার।

৭টা ৪০ মিনিটে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ষোড়শ সংশোধনী বিলটি স্থায়ী কমিটির সুপারিশসহ বিবেচনার জন্যে সংসদে প্রস্তাব দেন।

আলোচনায় যা বলা হল

আইনমন্ত্রীর প্রস্তাবের পর জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটির প্রস্তাব এবং সাধারণ নীতির ওপর আলোচনার সুযোগ দেন স্পিকার। ৭টা ৪১ মিনিটে সংসদ সদস্যরা তিন মিনিট করে তাদের অবস্থান নিয়ে বক্তব্য তুলে ধরেন।

আলোচনায় অংশ নিয়ে অধিকাংশ সদস্যরা প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করেন।

পিরোজপুর-৩ আসনের সাংসদ রুস্তম আলী ফরাজী বলেন, বিলটি গুরুত্বপূর্ণ। আলোচনার প্রয়োজন ছিল।

“বিলটি নিয়ে বিচ্ছিন্নভাবে আলোচনা হলেও জনগণের মধ্যে যে আতঙ্ক রয়েছে তা আলোচনা হলে কেটে যাবে। বিচারপতিদের অপসারণ নয় তাদের নিয়োগে নীতিমালা করতে হবে।”

সংরক্ষিত আসনের রওশন আরা মান্নান বলেন, বিলটি যদি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত না হয়, তাহলে আরো সময় বর্ধিত করার প্রয়োজন। এ সরকার কালাকালুন পাস করবে না বলে দেশের মানুষ বিশ্বাস করে।

“মোটা শাড়ি পড়ে হীরা জহরত না নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী দল নেত্রী মানুষের প্রশংসা কুড়িয়েছেন, আমি আশা করি সে সংসদে মানুষের ভালোর জন্য সব করা হবে।”

হাজী সেলিম বলেন, জনমত যাচাই করলে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাদি পাওয়ার সম্ভাবনা আছে।

ঝিনাইদহের তাহজীব আলম সিদ্দিকী বলেন, বিচারকদের নিয়ন্ত্রণের জন্য আইন নয়। এজন্যে বিচারকদের সম্পৃক্ত করতে হবে। একজন নিরাপরাধ বিচারক যেনো ভুলভাবে অপসারিত না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে।

কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, “বাহাত্তরে সংবিধানে ফিরতে আপত্তি নেই। কিন্তু এত তাড়াহুড়ো কেন? যদি স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা না থাকে, মৌলিক অধিকার ভুলষ্ঠিত হলে জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হবে।

“বিলটি নিয়ে যাতে ভবিষ্যতে কোনো কথা না উঠে, মানুষের কাছে জবাবদিহি করতে পারি। আমরা সবাই সবার কাছে দায়বদ্ধ। কিন্তু বিচারকরা শুধু বিবেকের কাছে ও আল্লাহর কাছে দায়বদ্ধ থাকতে পারে না।”

ময়মনসিংহের এম এ হান্নান বলেন, বিলটি পাস হলে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা খর্ব হবে বলে মনে করি। সংসদের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হতে পারে। বিচারকদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিতে পারে। এজন্যে জনমত যাচাইয়ের দরকার।

এস এম আবুল কালাম আজাদ বলেন, “আমরাই বিচারপতিদের অভিসংশন ক্ষমতা ফিরিয়ে আনছি। এজন্যে এ সংসদই যথেষ্ট। জনমত যাচাই এক জিনিস আর বিরোধিতা এক জিনিস। ৯৬ অনুচ্ছেদে ফিরে যাওয়ার বিপক্ষে আমি নই, এটা গণতান্ত্রিক।“

ইয়াহইয়া চৌধুরী বলেন, সব মহলের সঙ্গে আলোচনা করলেই ভালো হয়।

মঈনউদ্দীন খান বাদল বলেন, “এ বিলটির বিষয়ে আমাদের অবস্থান-জনগণ সার্বভৌম। জবাবদিহিতার ঊর্ধ্বে আল্লাহ থাকতে পারে, আর কেউ না। জনমত যাচাইতে পাঠালে একই উত্তর পাওয়া যাবে।”

তদন্ত প্রক্রিয়া ও আইনটি একসঙ্গে নিয়ে এলে বিলের সংশোধনী নিয়ে কোনো প্রশ্ন উঠত না বলে মত জানান পীর ফজলুর রহমান।

জাতীয় পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু বলেন, এ বিলটি বহু আগে আনা উচিত ছিল কিন্তু কথা হচ্ছে-অনেক সংবিধান বিশেষজ্ঞ তাড়াহুড়ো করে আনায় জনমনে সন্দেহ সৃষ্টি হচ্ছে।

“অধিকতর গ্রহণযোগ্য করার জন্যে যনমত যাচাইয়ের জন্য বিলটি পাঠানোর জন্য অনুরোধ করছি।”

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেন, “কে কী ভাবলেন তা ভাবার বিষয় নয়। আমরা মুক্তিযদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী, আমাদের নীতি আদর্শ-কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। প্রশ্ন হচ্ছে-বিলটি পাস হলে স্বাধীনত বিচার ব্যবস্থা থাকবে কিনা?

“আমার অভিজ্ঞতা বেশি বিচার ব্যবস্থা নিয়ে, ক্ষমতা ছাড়ার পর আমার নামে ৭৪টি মামলা দিয়েছে। কত বছর আমি আদালতে গিয়েছি...”

বিচারপতিতের প্রোটেক্ট করতেই সংশোধন: আইনমন্ত্রী

সবার আলোচনা শেষে জবাব দিতে গিয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, একজন বিচারপতি অনেক সম্মানিত ব্যক্তি। আল্লাহর পরেই তাদের স্থান। এ বিচারপতির কোনোভাবে স্বাধীনতা ক্ষুন্ন করার পক্ষে নয়।

“মাননীয় বিচারপতি উপলব্ধি করবেন-একজন খারাপ করলে পুরো ব্যবস্থার ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়। আমরা এ ব্যবস্থাই করছি-যাতে ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন না হয়। এ আইন প্রোটেক্ট করার জন্যে, যাতে সুনাম ক্ষুন্ন না হয়। এ আইনে বিচার ব্যবস্থার স্বাধীনতা ক্ষুন্ন হবে না।”

আইনমন্ত্রী বলেন, স্বাধীন বিচার বিচার ব্যবস্থার ওপর হস্তক্ষেপ হবে কি না, জিজ্ঞাস করা হয়েছে। এই আইনে বলা আছে, প্রমাণিত গুরুতর অসদাচরণ বা তা অমার্থ্যের কারণে বিচারপতিকে অপসারণ করা যাবে।

“এই আইন রায়ের ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করবে না। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হবে না। একজন বিচারপতি যদি প্রমাণিত গুরুতর অসদাচরণ করে বা বিচারকাজে অসামর্থ্য থাকে তাহলে তাকে এই সংসদ দুই-তৃতীয়াংশ ভোটে প্রস্তাব করে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রস্তাব করতে পারবে।”

যাচাই-বাছাই কমিটির প্রস্তাব নাকচ

৮টা ৫৫ মিনিটে জনমত যাচাইয়ের প্রস্তাব স্পিকার ভোটে দিলে কণ্ঠভোটে তা নাকচ হয়। বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাবও নাকচ হয়।

জনমত যাচাইয়ের প্রস্তাব স্পিকার ভোটে দিলে জাতীয় পার্টি হাত তুলে বিপক্ষে ভোট দেয়, যদিও তারা এই প্রস্তাবের পক্ষে ছিল। এসময় সরকারি দলের সংসদ সদস্যরা হাসাহাসি করে।

বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাবের সময় তারা চুপ করে ছিল।

স্থায়ী কমিটির সুপারিশসহ বিলটি অবিলম্বে বিবেচনার জন্য ভোটে দিলে তা কণ্ঠভোটে গৃহীত হয়।

এরপর সংশোধনী প্রস্তাব নিয়ে আলোচনায় অংশ নেন রুস্তম আলী ফরাজী, হাজী সেলিম, এম এ হান্নান, কাজী ফিরোজ রশীদ, ফজলে হোসেন বাদশা ১৫ জন সাংসদ।

বিচারক নিয়োগে নীতিমালা প্রণয়ন, বিচারক নিয়োগ কমিশন গঠন, জাজেস ইনকোয়ারি কমিশন গঠনসহ নানা সংশোধন প্রস্তাব তোলে ধরেন তারা।

‘উই আর ইলেকটেড বাই দ্য পিপল’

সংশোধনী প্রস্তাবের আলোচনার শেষে রাত ৯টা ৩৮ মিনিটের দিকে আইনমন্ত্রী নানা আন্দোলন-সংগ্রামের তথ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুর অবদানের কথা তুলে ধরেন।

সংবিধান সংশোধনীর পক্ষে অবস্থান তুলে ধরে তিনি বলেন, সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলে আত্মপক্ষ সমর্থনের কোনো সুযোগ নেই। সুপ্রিম কোর্টের স্বাধীনতার ক্ষুন্ন করা হচ্ছে না এ সংশোধনীতে। বাহাত্তর থেকে ৭৫ পর‌্যন্ত কোনো বিচারপতিতে অপসারণ করা হয়নি।...অথচ সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের মাধ্যমে অপসারণ করা হয়েছে।

“জনগণের অধিকার, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, দায়বদ্ধতা প্রতিষ্ঠা করতে চাই আমরা।”

প্রায় ১২ মিনিট বক্তব্যের পর আনিসুল হক বলেন, “আমি মনে হয় সময় বেশি নিয়ে ফেলেছি।”

তখন সবাই টেবিল চাপড়ে তাকে আরো কথা বলতে সমর্থন জানান। এসময় সংসদ নেতাও মাঝে মাঝে আইনমন্ত্রীকে উৎসাহ দিতে দেখা যায়।

“টক শোতে অনেক কথা হয়- আইনের বিরোধিতা কেউ করে না। তাদের একটা তবে থাকে- সেটা হচ্ছে এ সংসদ করতে পারবে না। আমি বলতে চাই- কেন করতে পারবে না?  উই আর ইলেকটেড বাই দ্য পিপল, উই আর রিপ্রেজেন্টেটিভ অব দ্য পিপল।”

সংবিধানের ৯৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বিচারকদের নিয়োগ সংক্রান্ত আইনও করা হবে বলে আশ্বাস দেন মন্ত্রী।

১০টা ১০ মিনিটে স্পিকার সংশোধনী প্রস্তাবগুলো ভোটে দিলে তা কণ্ঠভোটে নাকচ হয়।

বিলের দফাগুলো বিভক্তি ভোটের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করার বিষয়টি ভোটে দিলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।

বিভক্তি ভোট প্রক্রিয়া

বিভক্তি ভোটের প্রক্রিয়ার বিষয়ে স্পিকার বলেন, দুই মিনিট ধরে ঘণ্টা বাজানো হবে। অধিবেশন কক্ষের বাইরে লবির দরজা বন্ধ করে দেওয়া হবে। ওই সময় সাংসদরা লবিতে অবস্থান করবেন।

স্ব স্ব নির্বাচনী এলাকার নম্বর বিভক্তি ভোটের নম্বর হিসেবে বিবেচিত হবে। ৫টি লবির মধ্যে ১ নম্বর লবি না ভোটের জন্য আর ২,৩, ৪ ও ৫ হ্যাঁ লবি।

প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিতে চাইলে ১ নম্বর ‘না’ লবিতে গিয়ে ভোট দেবেন। পক্ষের সদস্যরা ‘হ্যাঁ’ লবিতে যাবেন।

“লবিতে গিয়ে নির্ধারিত ব্যালটে স্বাক্ষর করে ভোট দেবেন। এরপর তারা অধিবেশনে ফিরে আসবেন। ভোট গণনা পর্যন্ত আর লবিতে যাওয়ার সুযোগ নেই।”

স্পিকারের ঘোষণার পর ১০টা ১৫ মিনিটে ডিভিশন ঘণ্টা (বিভক্তি ঘণ্টা) বাজে। এরমধ্যে সবাইকে অধিবেশন কক্ষে ঢুকে নিজ নিজ আসনে বসে পড়েন।

যারা ‘হ্যাঁ’ বলেছেন তাদেরকে ‘হ্যাঁ’ লবিতে যাওয়ার নির্দেশ দিলে ১০টা ২০ মিনিটে সবাইকে ২, ৩, ৪ ও ৫ নম্বর লবিতে যেতে দেখা যায়।

কাউকে ‘না’ লবিতে যেতে দেখা যায়নি।

১০টা ২১ মিনিটে ভোট দিয়ে অধিবেশন কক্ষে ফেরেন সবাই। 

দফা ও প্রস্তাবনা যোগ করতে ‘হ্যাঁ’ ৩২৭ ভোট

১০টা ৪১ মিনিটে অধিবেশন কক্ষ আবার কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। স্পিকার ঘোষণা দেন, “আমরা ভোটের ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করছি।”

বিভক্তি ভোটের ফলাফল (সাংসদদের পক্ষে-বিপক্ষে স্বাক্ষর করা ব্যালট) নিয়ে এসে সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তারা স্পিকারের হাতে দেন।

“ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। লবির দরজা খোলে দেওয়া যেতে পারে। নিজ নিজ আসন গ্রহণ করুন।”

১০টা ৪৬ স্পিকার জানান, বিভক্তি ভোটের মধ্যে ৩২৮টি ‘হ্যাঁ’র পক্ষে পড়েছে, ‘না’ ভোট পড়েছে শূন্য।

এর মাধ্যমে বিলের দফা ও প্রস্তাবনা বিলের অংশ হিসেবে গণ্য হল বলে জানান স্পিকার।

১০টা ৪৭ মিনিটে বিলটি পাসের জন্য আইনমন্ত্রীকে অনুরোধ জানান স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।

বিল পাসের জন্য বিভক্তি ভোট

রাত ১০টা ৪৯ মিনিটে বিলটি পাসের বিষয়ে বিভক্তি ভোটে দেন স্পিকার। এজন্যে পুরো প্রক্রিয়া শুরু হয়।

স্থায়ী কমিটির সুপারিশ আকারে ষোড়শ সংশোধনী বিল পাসের বিষয়টি ভোটে দিলে কণ্ঠভোটে পাস হয়। এরপর সবাই ভোট দিতে লবিতে যান।

তারা ফেরার পর ১১টা ৮ মিনিটে স্পিকার ঘোষণা দেন, ৩২৭টি ‘হ্যাঁ’ ভোট পড়েছে। বিপক্ষে শূন্য ভোট পড়েছে।

“হ্যাঁ জয়যুক্ত হয়েছে। বিলটি সুপারিশকৃত আকারে সর্বস্মতক্রমে পাস হল,” ঘোষণা দেন স্পিকার।