বুধবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে শুরু হয়ে মশাল মিছিলটি নগরীর নিউ মার্কেট মোড় ঘুরে আবার শহীদ মিনারে এসে শেষ হয়।
মিছিলের আগে শহীদ মিনার চত্বরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ঢাকা গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠক ও ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক লাকী আক্তার এবং গণজাগরণ মঞ্চ চট্টগ্রামের সমন্বয়ক শরীফ চৌহান।
সমাবেশে লাকী আক্তার বলেন, “আজ ইতিহাসের জঘন্যতম দিন। একাত্তর সালে ঘৃণ্য সব অপরাধ করেও রাজাকার দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর সর্বোচ্চ শাস্তি হলো না।
“সরকার কি তাহলে তাদের সাথে কৌশলগত ঐক্য করতে চলেছে? ঢাকায় গণজাগরণ মঞ্চের ওপর যারা হামলা করেছে তারা আর কেউ নয়, তারা সরকারের পেটোয়া বাহিনী।”
সমাবেশে শরীফ চৌহান বলেন, “ঢাকায় গণজাগরণ মঞ্চের ওপর যে হামলা হয়েছে আমরা তার তীব্র প্রতিবাদ জানাই। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেছেন- ফাঁসির রায় পায়নি বলে রাস্তা আটকানো যাবে না। আমরা তার এ বক্তব্য ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করছি।
“বাংলাদেশের মানুষ দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীর মামলার রায় মেনে নেয়নি। এ রায় জনগণ প্রত্যাখান করেছে।”
সমাবেশ শেষে শুরু হয় মশাল মিছিল।
মিছিলে অংশ নেন চট্টগ্রাম গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠক প্রকৌশলী দেলোয়ার মজুমদার, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক হাসান ফেরদৌস, উদীচীর জেলা সাধারণ সম্পাদক সুনীল ধর, প্রমার সভাপতি রাশেদ হাসান, শিক্ষিকা সালমা জাহান মিলি প্রমুখ।
মিছিলে সংহতি জানিয়ে অংশ নেয় ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র ফ্রন্ট, ছাত্র মৈত্রী ও যুব মৈত্রীর নেতাকর্মী।
সমাবেশ থেকে জানানো হয় শুক্রবার বিকাল ৪টায় নগরীর চেরাগী মোড়ে চট্টগ্রাম গণজাগরণ মঞ্চের আয়োজনে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে সকালে নগরীর চেরাগী পাহাড় মোড়ে তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করে গণজাগরণ মঞ্চ।