‘খালাস’ আশা করেছিলেন সাঈদীর ছেলে

একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের মামলায় আপিল বিভাগের রায়ে খালাস আশা করেছিলেন জানিয়ে জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ছেলে ও আইনজীবী বলেছেন, পূর্ণাঙ্গ রায় হাতে পেলে তারা পুনর্বিবেচনার আবেদন করবেন।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Sept 2014, 05:37 AM
Updated : 17 Sept 2014, 02:43 PM

প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ বুধবার সাঈদীর মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয়।

এই জামায়াত নেতার ছেলে মাসুদ সাঈদী রায়ের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “ফাঁসি কমে আমৃত্যু কারাদণ্ড হয়েছে। তারপরও আমরা বলব যে ন্যায়বিচার পাইনি।

“আমাদের প্রত্যাশা ছিল নির্দোষ প্রমাণ হয়ে তিনি বেকসুর খালাস পাবেন। আমরা পূর্ণাঙ্গ রায় হাতে পাওয়ার পর রিভিউ আবেদন করব।” 

সাঈদীর আইনজীবী মিজানুল ইসলাম বলেন, “আমরা এ রায়ের সঙ্গে একমত হতে পারিনি। খালাস আশা করেছিলাম।”

হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট, নির্যাতন ও ধর্মান্তরে বাধ্য করার মতো মানবতাবিরোধী অপরাধে ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি সাঈদীকে মৃত্যুদণ্ড দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

রায়ের বিরুদ্ধে সাঈদী আপিল করলে শুনানি শেষে গত ১৬ এপ্রিল তা রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখে আপিল বিভাগ। তার পাঁচ মাস পর এই রায় এলো।

রায়ে ১০, ১৬, ১৯ নম্বর অভিযোগে জামায়াতের এই নায়েবে আমিরকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয়া হয়। আর ৮ নম্বর অভিযোগে ১২ বছর এবং ৭ নম্বরে ১০ বছর কারাদণ্ডের আদেশ দেয় আপিল বিভাগ।

এর মধ্যে ৮ ও ১০ নম্বর অভিযোগে ইব্রাহিম কুট্টি ও বিসাবালীকে হত্যা এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়ি ঘরে আগুন দেয়ার দুটি অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল একাত্তরের রাজাকার সাঈদীর ফাঁসির রায় দিয়েছিল।