জামিন বাতিলে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন নিষ্পত্তি করে মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের ৫ সদস্যের বেঞ্চ এই আদেশ দেয়।
আদালত রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সোহরাওয়ার্দী। আসামিপক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।
সোহরাওয়ার্দী পরে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এই আদেশের ফলে রুলের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সীমান্তের জামিন স্থগিত থাকবে।
গত ২৪ জুন হাই কোর্টের একটি অবকাশকালীন বেঞ্চ অন্তর্বর্তীকালীন আদেশে সীমান্তকে জামিন দেয়। পাশাপাশি ওইদিন একটি রুলও দেয়া হয়।
ওই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল হচ্ছে জানানোয় জামিন হওয়ার পরও তাকে ছাড়েনি কারা কর্তৃপক্ষ।
এর মধ্যে জামিন স্থগিতের আবেদন করলে গত ১ জুলাই চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী দুই সপ্তাহের জন্য হাই কোর্টের আদেশ স্থগিত করে দেন। এরপর রাষ্ট্রপক্ষ পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে আবেদন করে।
লাশ পাওয়ার দিনই সদর মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন রাব্বি। পরে ১৮ মার্চ শামীম ওসমান, তার ছেলে অয়ন ওসমান, যুবলীগ নেতা পারভেজ, জেলা ছাত্রলীগসহ সভাপতি রাজীব দাস, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, সালেহ রহমান সীমান্ত ও রিফাতকে দায়ী করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পুলিশ সুপারকে একটি অবগতিপত্র দেন তিনি।
রাব্বির অভিযোগ, শামীম ওসমানের ভাস্তে আজমেরি ওসমানের কার্যালয়ে ত্বকীকে আটকে রেখে নির্যাতনের পর হত্যা করা হয়েছে।
গত বছরের ৭ অগাস্ট আজমেরির ওই কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে একটি রক্তমাখা প্যান্টসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র উদ্ধার করে র্যাব।
তবে শামীম ওসমান বরাবরই ত্বকী হত্যাকাণ্ডে তার পরিবারের সম্পৃক্ততার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন।
ত্বকী হত্যা মামলা প্রথমে পুলিশের হাতে থাকলেও পরে আদালতের আদেশে তদন্তভার র্যাবকে দেয়া হয়।