সোমবার নাজিমউদ্দিন রোডের বিশেষ এজলাসে ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত হয়ে সাক্ষ্য দেন ৭০ বছর বয়সী এই নারী।
ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. শাহেদ নূর উদ্দিন রাষ্ট্রপক্ষের ১০২তম সাক্ষী হিসাবে জোবেদার জবানবন্দি গ্রহণ করেন।
জজ মিয়ার বোন খোরশেদাও এদিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আদালত জজ মিয়া ও খোরশেদার সাক্ষ্য মামলার পরবর্তী কোনো দিন শুনবে বলে এ ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ কৌঁসুলি আবু আবদুল্লাহ ভূইয়া জানান।
২১ অগাস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে সেই গ্রেনেড হামলার পর বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ হিসাবে ঘটনাস্থলে যাওয়া মেজর মারুফ হোসেনকে এদিন আদালতে জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।
২০০৪ সালে আওয়ামী লীগের সমাবেশে সেই হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পরের বছর ৯ জুন নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার বিরকোট গ্রাম থেকে জজ মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। ‘স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি’ আদায়ের পর জজ মিয়াকে আসামি করেই ২০০৮ সালে চাঞ্চল্যকর এ মামলার অভিযোগপত্র দেয় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
কিন্তু পরে অধিকতর তদন্তে দেখা যায়, ওই মামলাকে ‘ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য’ বিগত চারদলীয় জোট সরকারের নির্দেশে সিআইডি জজ মিয়াকে নিয়ে নাটক সাজানোর চেষ্টা করে।
পরে হাই কোর্ট জজ মিয়াকে ২১ অগাস্টের মামলা থেকে অব্যাহতি দিলে ২০০৯ সালে মুক্তি পান জজ মিয়া।
আদালতের নির্দেশে ২০১১ সালের ৩ জুলাই বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ৩০ জনকে আসামির তালিকায় যোগ করে এ মামলায় সম্পূরক অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি। তাতে জজ মিয়া ও তার মা-বোনকে সাক্ষী করা হয়।
বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী শোভাযাত্রার আগে ওই গ্রেনেড হামলায় দলের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আইভি রহমানসহ অন্তত ২৪ জন নিহত ও শতাধিক আহত হন।
আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ওই হামলা চালানো হয়েছিল বলে পরে তদন্তে বেরিয়ে আসে।