ফারুকী হত্যা: ৬ টিভি উপস্থাপকের বিরুদ্ধে মামলা

নুরুল ইসলাম ফারুকী হত্যার ঘটনায় ছয় টিভি উপস্থাপকের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ইসলামী ছাত্রসেনার এক নেতা, যা থানায় দায়ের করা আগের মামলার সঙ্গে যুক্ত করে একসঙ্গে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 Sept 2014, 08:49 AM
Updated : 4 Sept 2014, 04:27 PM

ইসলামী ফ্রন্টের সহযোগী সংগঠন ছাত্রসেনার ঢাকা মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার বৃহস্পতিবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে এই অভিযোগ নিয়ে যান।

ছয় আসামি হলেন- এনটিভি ও এটিএন বাংলার ইসলামী অনুষ্ঠানের আলোচক জামায়াতের রুকন তারেক মনোয়ার ও নরসিংদী জামায়াতের সাবেক আমির কামাল উদ্দিন জাফরী; দিগন্ত ও পিস টিভির ইসলামী অনুষ্ঠানের আলোচক কাজী ইব্রাহীম; এটিএন বাংলার ইসলামী অনুষ্ঠানের উপস্থাপক আরাকানুল্লাহ হারুনী; আরটিভি ও রেডিও টুডের উপস্থাপক খলেদ সাইফুল্লাহ বখশী এবং বাংলাভিশনের ‘কোরানের আলো’ অনুষ্ঠানের উপস্থাপক মুখতার আহমদ।

আর্জিতে এই ছয়জনকে ফারুকী হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী হিসাবে উল্লেখ করেন তুষার।   

ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৯৬ ধারার পাশাপাশি ৩০২, ৩৪, ১০৯ ও ১২০ ধারা এজাহারে যুক্ত করার পাশাপাশি ছয় আসামির বিরুদ্ধে করা এই অভিযোগ আগের মামলার সঙ্গে যুক্ত করার জন্য নির্দেশনা চান তিনি।

মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নূর শুনানি শেষে তুষারের আর্জি এজাহার হিসাবে গ্রহণ করে শেরেবাংলা নগর থানায় দায়ের করা নিহতের পরিবারের মামলার সঙ্গে সেটি যুক্ত করতে বলেন এবং একসঙ্গে তদন্তের জন্য ওসিকে নির্দেশ দেন।

গত ২৭ অগাস্ট রাতে ঢাকার রাজাবাজারের বাসায় পরিবারের সদস্যদের বেঁধে ইসলামী ফ্রন্টের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নুরুল ইসলাম ফারুকীকে গলা কেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।

আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের কেন্দ্রীয় নেতা ফারুকী চ্যানেল আইয়ে ‘কাফেলা’ ও ‘শান্তির পথে’ নামে দুটি ইসলামী অনুষ্ঠানও উপস্থাপনা করতেন।

হত্যাকাণ্ডের রাতেই তার ছোট ছেলে ফয়সাল ফারুকী শেরেবাংলা নগর থানায় ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৯৬ ধারায় একটি মামলা করেন, যাতে ডাকাতি ও হত্যার কথা বলা হয়।

বুধবার পরিবারের পক্ষ থেকে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নিহতের মেজ ছেলে আহমদ রেজা ফারুকী ওই মামলায় দণ্ডবিধির ৩০২ ও ৩৪ ধারাও যুক্ত করার অনুরোধ জানান।

কার্যবিধির ৩০২ ধারার ব্যাখ্যায় হত্যার কথা বলা হয়েছে; আর ৩৪ ধারায় বলা হয়েছে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে একই উদ্দেশ্যে অপরাধ সংঘটনের কথা।

ছাত্রসেনা নেতা তুষারও আদালতে করা আবেদনে ওই দুটি ধারা যোগ করার অনুরোধ জানান। এর সঙ্গে তিনি ১০৯ ও ১২০ ধারাও এজাহারে যোগ করতে বলেন, যাতে প্ররোচণা ও আলামত গোপনের অভিযোগের কথা বলা হয়েছে।

তিনি বলেন, তাড়াহুড়া করে ‘হতবিহ্বল অবস্থায়’ ফারুকীর ছেলে ফয়সাল আগের এজাহারটি দায়ের করে এবং ৩০২ ধারা যুক্ত না করেই পুলিশ তাকে দিয়ে এজাহারে স্বাক্ষর করিয়ে নেয়। 

শুনানিতে তুষার বলেন, ফারুকী পরিবারকে আদালতে না যাওয়ার হুমকি দেয়া হচ্ছে। এ কারণে তিনিই এ আর্জি নিয়ে এসেছেন।