পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাত ১টা ৫মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ডায়াবেটিক হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৬৬ বছর। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সারে ভুগছিলেন।
তার স্বামী প্রয়াত অ্যাড. মোশাররফ হোসেন ওই আসন থেকে চার বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।
মৃত্যুকালে সালেহা মোশাররফ তিন ছেলে ও দুই মেয়ে রেখে গেছেন।
মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করে গেছেন।
প্রয়াতের ছেলে অ্যাডভোকেট শাহেদীদ গামাল লিপু জানান, শুক্রবার চরভদ্রাসন উপজেলার পাইলট হাই স্কুল মাঠে বেলা ১১টায়, বাদ জুম্মা সদরপুর উপজেলা স্টেডিয়ামে এবং বাদ আসর ফরিদপুর রেড ক্রিসেন্ট চত্বরে নামাজের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে ।
পরে শহরের আলীপুর কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হবে।
এদিকে সালেহা মোশাররফের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এক শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্যাগী ও নিবেদিতপ্রাণ জননেত্রী হিসাবে সালেহা মোশাররফের অবদান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও ফরিদপুরবাসী সব সময়ই স্মরণ করবে।
প্রধানমন্ত্রী মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। পাশাপাশি শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
সাবেক এই এমপির মৃত্যুতে ফরিদপুর-২ আসনের এমপি ও সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, ফরিদপুর-৩ আসনের এমপি ও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ফরিদপুর-১ আসনের এমপি আব্দুর রহমান, ফরিদপুর-৪ আসনের এমপি মুজিবুর রহমান নিক্সন, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি লিয়াকত সিকদার, ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগ, জেলা বিএনপিসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনও শোক প্রকাশ করেছে।