ভারপ্রাপ্ত এআইজি প্রলয় কুমার জোয়ারদারকে নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন লেখা, সম্পাদনা ও প্রকাশের ক্ষেত্রে যথেষ্ট সাবধানতা অবলম্বন করা হয়নি বলে স্বীকার করেছে তারা।
তথ্য প্রযুক্তি আইনের মামলায় গ্রেপ্তার ইনকিলাবের বার্তা সম্পাদক রবিউল্লাহ রবিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজতে নেয়ার পর রোববার পত্রিকাটির সম্পাদক দুঃখ করে সংবাদ প্রত্যাহারের কথা তাদের অনলাইন সংস্করণে জানিয়েছেন।
গত ১৮ অগাস্ট ‘প্রধানমন্ত্রীর নাম ভাঙ্গিয়ে একচ্ছত্র আধিপত্য এক পুলিশ কর্মকর্তার’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ করে ইনকিলাব, যাতে ওই পুলিশ কর্মকর্তা বাহিনীতে ‘অঘোষিত হিন্দু লীগ’ প্রতিষ্ঠা করেছেন বলে উল্লেখ করা হয়।
এই সংবাদ প্রকাশের পর পুলিশ সদর দপ্তরে কর্মরত ভারপ্রাপ্ত এআইজি প্রলয় গত মঙ্গলবার ওয়ারি থানায় মামলা করেন।
ইনকিলাবের বার্তা সম্পাদকের পাশাপাশি প্রকাশক ও সম্পাদক, প্রধান প্রতিবেদক, নগর সম্পাদক ও সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদককেও ওই মামলায় আসামি করা হয়।
ইনকিলাব বলছে, “রিপোর্টটি প্রকাশের পর অনুসন্ধানে দেখা গেছে, এর অনেক তথ্যই সত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত নয়। ওই প্রতিবেদনে প্রলয় কুমার জোয়ারদার সম্পর্কে অসত্য তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে।
এছাড়া ওই রিপোর্টে একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের সদস্যদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার মতো শব্দ প্রয়োগ করায়ও দুঃখিত করেছে ইনকিলাব কর্তৃপক্ষকে।
“এ ধরনের শব্দ ও বাক্য প্রয়োগে যে সকল ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও বিশেষ সম্প্রদায়ের সন্মানিত সদস্যগণ মনেকষ্ট পেয়েছেন তাদের প্রতি ইনকিলাব কর্তৃপক্ষের আবেদন, তারা যেন আমাদের অনিচ্ছাকৃত এই ভুলকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখেন।”
ওই প্রতিবেদন প্রকাশে যুক্তদের সনাক্তের চেষ্টা চলছে বলেও জানিয়েছে ইনকিলাব।
‘সাতক্ষীরায় যৌথ বাহিনীর অপারেশনে ভারতীয় বাহিনীর সহায়তা’ শীর্ষক সংবাদ প্রকাশের জন্য মামলার পর গত ১৮ জানুয়ারি একইভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছিল দৈনিক ইনকিলাব।