রসবোধের জন্য পরিচিত রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তার সফরসঙ্গীরাও বৃহস্পতিবার এই ভোজে অংশ নেন।
সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের মতো ব্যক্তিদেরও প্রায়ই লন্ডনের এই অভিজাত রেস্তোরাঁয় খেতে দেখা যায়।
ওই রেস্তোরাঁর এক মুখপাত্র বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে ওই আয়োজনে ৩০ জনের খাবারের ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত অভ্যাগতের সংখ্যা দাঁড়ায় ৪৪ জনে।
অর্থাৎ, রাষ্ট্রপতির ৩৪ জন সফরসঙ্গীর প্রায় সবাই ভুরিভোজ সেরেছেন রেড ফোর্ট রেস্তোরাঁয়।
রেস্তোরাঁর এক কর্মকর্তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী, খাবারের বিল হয়েছিল দুই হাজার ২২৭ দশমিক ৫ পাউন্ড। তবে বিল কে পরিশোধ করেছেন তা জানা যায়নি।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির জন্য ১৩ ধরনের খাবারের আয়োজন করেছিলেন রেড ফোর্টের পাচকরা। মাথাপিছু খাবারের দাম পড়ে ৪৫ পাউন্ড।
টেবিলে ছিল মৌরি দিয়ে ঝাল ঝাল সি বাস মাছের টিক্কা, চিংড়ির পদ হারিয়ালি ঝিঙ্গা আর তান্দুরি ঝিঙ্গা, সরষে আর লাল লঙ্কা দিয়ে তৈরি স্কটিশ স্যামন টিক্কা, আদা আর রসুন দিয়ে বিশেষভাবে তৈরি চিকেন টিক্কা।
আরো ছিল রুই ভাজা, বাঙালি রীতিতে রান্না চিতল মাছের ঝোল, ভেড়ার মাংস দিয়ে তৈরি আফগান রীতির ‘দমপুখত বিরিয়ানি’, সিলেটি রীতিতে রান্না ‘সাতকরা মাংস’, প্রচুর পিঁয়াজ ও ধনেপাতা দিয়ে রান্না করা ‘লখনৌয়ি মুর্গ’, নিরামিষ, পঞ্চরঙ্গি ডাল, পালং শাকের ভারতীয় পদ ‘পালক কি কাতলি’, ভাত আর কয়েক পদের রুটি।
সঙ্গে ছিল শশার সালাদ, পিচ রায়তা, আর তাজা ফল।
খাবার পরিবেশনকারীদের একজন বলেন, “ভোজ শেষে প্রেসিডেন্ট সন্তুষ্টি নিয়েই রেস্তোরাঁ ছেড়ে যান।”
চোখের চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নয় দিনের সফরে গত রোববার যুক্তরাজ্য যান রাষ্ট্রপতি। পরিবারের সদস্যরাও এই সফরে তার সঙ্গে রয়েছেন।
স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে আগামী ২৫ অগাস্ট তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
আবদুল হামিদ দীর্ঘদিন ধরে গ্লুকোমায় ভুগছেন। স্পিকার থাকা অবস্থায়ও চিকিৎসার জন্য নিয়মিত সিঙ্গাপুরে যেতে হতো তাকে।
রাষ্ট্রপতি হওয়ার গত এপ্রিলেও একবার তিনি সিঙ্গাপুরে যান চিকিৎসা নিতে।
২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল বাংলাদেশের ২০তম রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নেন আবদুল হামিদ।